অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : ২২ দিনের অবরোধ উঠে গেছে। আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বরগুনার পাথরঘাটা সহ উপকূলের শতাধিক মৎস্যজীবি টলার এখন বঙ্গোপসাগর অভিমুখে। জেলা ট্রলারমালিক সূত্র থেকে জেলেদের সমুদ্রযাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, এ জেলায় ২ হাজারের বেশি ট্রলার থাকলেও সমুদ্র অভিমুখে যাত্রা করেছে মাত্র ১'শ ট্রলার।

তিনি জানান, অধিকাংশ ট্রলারে বাজার সদাই করতে পারেনি। দেশের দক্ষিণ উপকূলের মৎস্য পল্লীতে দু'দিনের মধ্যেই শুরু হবে প্রান চাঞ্চল্যতা। পাথরঘাটা পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ছুটে আসবে শত শত মাছ বোঝাই ট্রলার। সে আশাতেই বুক বেঁধে আছে এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ী এবং ট্রলারমালিক জেলে সহ সকলে।

মৎস্য ট্রলারমালিক খলিলুর রহমান বলেন, অবরোধ উঠে গেছে আমরা এখন সাগরের বুকজুড়ে জেলেদের মিলন মেলা দেখতে চাই। আশাকরি সরগরম হয়ে উঠবে জেলে পল্লী। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসবে তাজা ইলিশ কিনতে। বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সারিবদ্ধ থাকবে মাছবাহী ট্রাক।

জেলে ট্রলারের মাঝি মো.ফারুক বলেন, ২২ দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে আমরা এখন বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলেছি ইলিশ পাব এই আশায় দোয়া করবেন যেন ট্রলার বোঝাই করে ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরতে পারি।

মৎস্য আরৎদার সতীন্দ্রনাথ বালা বলেন, দয়ালের কৃপা হলে আবারও ইলিশ ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠবে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট এলাকা। আমরা এ বছর ইলিশ ব্যবসায় চরম সঙ্কটের মুখে আছি।

এদিকে মৎস্য ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন আড়ৎদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,ট্রলারগুলো মাছ ধরে কয়েকদিন পর ঘাটে ফিরতে শুরু করলেই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে। এবং ইলিশ ব্যবসায় সংকট কাটিয়ে ওঠা কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ২২দিনের অবরোধে জেলেপল্লী এক ধরনের অভাব অনটনের জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। জেলে পরিবার গুলো পরিণত হয়েছিল দাদন আর ঋণগ্রস্থ দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারে। এখন আমরা তাকিয়ে আছি সমুদ্র পানে দেখা যাক কী বার্তা নিয়ে আসে জেলেরা।

(এসডি/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০২১)