আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ( ২৬ অক্টোবর) ভার্চুয়াল এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছেন সদস্য দেশগুলোর প্রধান নেতারা। তবে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হওয়ায় সম্মেলন থেকে বাদ পড়েছে মিয়ানমার।

২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনের এ ভার্চুয়াল সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও অংশ নেবেন।

বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার শুরু হওয়া সম্মেলনে অরাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক চ্যান আই-ই’কে আমন্ত্রণ জানায় সংস্থার বর্তমান সভাপতি ব্রুনেই। কিন্তু যোগ দেননি তিনি।

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হলো ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। মিয়ানমার ১৯৯৭ সালে আসিয়ানের সদস্য পদ লাভ করে।

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সে সময় অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই দেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে সামরিক জান্তা সরকার।

গত এপ্রিলে মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আসিয়ানের বিশেষ সম্মেলনে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। জান্তা সরকার সে সময় এসব বিষয়ে একমত হলেও তারা তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এর বিরোধিতা করে রাজপথে নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেনাবাহিনী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ঠেকাতে অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। এর পরিপ্রেক্ষিতে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সেসময়।

দমন-পীড়ন সত্ত্বে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে।

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা, এপি

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০২১)