পোরশার দুই গ্রামের ৫টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর

নওগাঁ প্রতিনিধি : গত দূর্গা পুজোর সময় কুমিল্লা, নোয়াখালি, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দূর্গা প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আসন্ন কালি পুজোর মাত্র ২দিন আগে সোমবার (১ নভেম্বর) দিনগত রাতে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ভবানীপুর ও শরিওয়ালা গ্রামে মোট ৫টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এমন ঘটনায় জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে নতুন করে আত্কং ছড়িয়ে পড়েছে। পোরশা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ৩টি মন্দিরে ও পার্শ্ববর্তী শরিওয়ালা গ্রামে ২টি মন্দিরের শিব-কালি ও সন্যাস প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে মাঠে কাজ করার জন্য মন্দিরের পাশদিয়ে হেটে যেতেই মন্দিরের ভিতরে থাকা শিব-কালি প্রতিমাগুলো ভাংচুর অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এসময় তারা থানা পুলিশে খবর দিলে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিরাঞ্জন মন্ডল ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। এব্যাপারে জানতে পোরশা থানার ওসির সরকারী নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পোরশা উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুদেব সাহা জানান, ভবানীপুর গ্রামে ৩টি পাশর্^বর্তী সরিয়ালা গ্রামে ২টি মন্দিরে রাখা শ্রীশ্রী কালী, শিব, লক্ষ্মীসহ ৫/৬টি প্রতিমা সোমবার রাতের কোন এক সময় ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মীবালম্বীরা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান গনমাধ্যমকে জানান,সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটা দুষ্ট চক্র যারা সর্বদায় স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এসেছে, তারাই বিভিন্ন ভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই দুস্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোড় পুলিশী তৎপরতা চলছে।
(বিএস/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০২১)