গলাচিপায় কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা
.jpg)
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপায় কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গোৎসবের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারও গলাচিপা উপজেলায় বেশ কয়েকটি মন্দিরে এ পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। শাস্ত্র মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ৩ নভেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলি।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা ম-পে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। গলাচিপা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় শ্মশান ও সাহাবাড়ি শ্মশান পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. মামুন আজাদ।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. মামুন আজাদ বলেন, “ধর্ম যার যার-উৎসব সবার। এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আপনারা সকলে দীপাবলি ও কালীপূজা উৎসব পালন করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন সুস্থ ও সবল থাকেন। তিনি ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকবে। দেশ ভাল থাকলে জনগণ ভাল থাকবে।”
এ বিষয়ে কালীবাড়ি কমিটির সভাপতি বাবু দীলিপ বনিক ও সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দীপাবলি ও শ্যামা পূজা উৎসব পালন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সাহাবাড়ী শ্মশান কমিটির কর্তৃপক্ষ বলেন, করোনা মহামারির কারনে ছোট পরিসরে দীপাবলি ও শ্যামা পূজা উৎসব পালন করা হচ্ছে।
(এসডি/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০২১)