শিমুল সাহা, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১১ নং হাজির পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিগত দিনে যারা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছে বর্তমানে তারা নৌকার মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে ৯ নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ- নির্বাচনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরীর ছেলে মিজানুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। সেই উপ-নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ মাহামুদ বাকীর ঘোড়া মার্কার পক্ষে অবস্থান নেয় ১১ নং হাজির পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুল আলম বাবুল পাটওয়ারী। উপ- নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় নৌকার ভরাডুবি হয়। পরবর্তীতে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় ঘোড়া মার্কার ফিরোজ মাহামুদ বাকীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা সেই শামছুল আলম বাবুল পাটওয়ারী এখন আবার নৌকা মার্কা দলীয় মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন ভাবে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় ১ নাম্বারে তার নাম দেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি সম্পাদকের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ চালাচ্ছেন।এই খবর জানাজানি হলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, যারা এক সময় নৌকাকে ডুবিয়েছে, তারা এখন কোন মুখে নৌকার মাঝি হতে চায়। তাদের লজ্জা থাকা উচিত। ২০১৯ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম ভাইয়ের ছেলে মিজানুর রহমান ৯ নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনে যে লোক সবচেয়ে বেশী নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকাকে পরাজিত করে, সেই লোক এখন আবার নৌকার প্রার্থী হতে চায় কিভাবে। আমরা স্থানীয় নেতাকর্মীরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারি না। মেনে নিব না।

বিগত দিনে যারা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছে তাদের নাম মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরূ জানান , যে সব নেতাকর্মী নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে তাদের বিষয়ে দল কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন তালিকায় কোন ভাবেই তাদের নাম পাঠানো হবে না।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে দলের উর্দ্ধে কেহ নয়। শামছুল আলম বাবুল পাটওয়ারীর মুঠো ফোনে বারবার কল করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(এস/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০২১)