টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার এলাকায় এলেঙ্গা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূয়াপুর উপজেলা ঘাটান্দি গ্রামের খন্দকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ভূক্তভোগী খন্দকার মিজানুর রহমান। 

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এলেঙ্গা কলেজ রোডের একটি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগি মিজানুর রহমান লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২২ এপ্রিল হতে ১২ মার্চ পর্যন্ত এলেঙ্গা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এমতাবস্থায় ভিতরের কিছু অশ্লীল কার্যকলাপ যেমন রোগীদের বলাৎকার করা, মারধর করা, রোগীদেরকে জিম্মি করে মহিলা গার্ডিয়ানদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, রোগীদের দিয়ে সারা রাত্রি ম্যাসাজ নেওয়া, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা। এই সমস্ত পরিবেশ দেখে আমি চিকিৎসা শেষ না করে চলে যাই। পরবর্তীতে তাদের সাথে এই অশ্লীল আচরণ করে তাদের একজনের সাথে যোগাযোগ করি। সে আমাকে সেন্টারের পরিচালক জয়নাল আবেদীন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করে।

এলেঙ্গা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্র পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানতে পারে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান স্টাফ মোঃ সৌরভ পিতা আবুল কাশেম তারাও জানতে পারে যে, আমার কাছে সেন্টার পরিপন্থি কিছু ডকুমেন্ট আছে। পরবর্তীতে সে সেন্টারে রোগী ভর্তি করার জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করে যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর তারিখে আমি আমার এলাকার ভাতিজাকে ভর্তির ব্যাপারে আলোচনার জন্য সেন্টারে আসি।

তখন তারা চিকিৎসার ব্যাপারে কথা না বলে আমাকে ভিতরের রুমে ডেকে নেয় এবং সেন্টারের স্টাফ গোপাল ও সৌরভ আমার কাছে ডকুমেন্ট চেয়ে অতর্কিত হামলা করে পর্যায়ক্রমে জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজন মিলে আমাকে বেধড়ক ভাবে মারতে মারতে ল্যাংটা করে ফেলে।

আমার কাছে থাকা নগদ ৬৯ হাজার ৫৬০ টাকা কেড়ে নিয়ে নেয় এবং ডকুমেন্টের জন্য আরও মারধর করে। আমার কাছে ডকুমেন্ট না পেয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাহির করে দেয়।

আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হই এবং এ ব্যাপারে গতকাল রোববার কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমি আপনাদের কাছে সুবিচার কামনা করছি।

(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০২১)