সুনির্মল বসু

বইছে হাওয়া উত্তুরে;
গল্পবুড়াে থুত্থুড়ে
চলছে হেঁটে পথ ধ’রে
শীতের ভােরে সত্বরে;
চেঁচিয়ে যে তার মুখ ব্যথা
‘রূপকথা চাই, রূপকথা—’

ডাক ছেড়ে সে ডাকছে রে—
বলছে ডেকে হাঁক ছেড়ে—
‘ঘুম ছেড়ে আজ ওঠ তােরা,
আয় রে ছুটে ছােট্টরা—
কী আছে মাের তল্পিটায়।
দেখবি যদি জলদি আয়।

কাঁধের উপর এই ঝােলা—
গল্প-ভরা মন ভােলা,
দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ,
রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ,
মনপবনের দাঁড়খানা-
আজগুবি সব কারখানা—
ভর্তি আমার তল্পিটায়,
দেখবি যদি, জলদি আয়।

কড়ির পাহাড় সার-বাঁধা—
মানিক-হীরা চোখ ধাঁধা
সােনার কাঠি ঝলমলে,-
ময়নামতী টলটলে—
তেপান্তরের মাঠখানা-
হট্টমেলার হাটখানা—
আটকাল এই তল্পিটায়,
দেখবি যদি জলদি আয়।

কেশবতী নন্দিনী
এই থলেতে বন্দিনি।
শীতের প্রখর প্রত্যূষে—
আসবে না যে শত্রু সে—
ভাঙব তাদের মূর্খতা—
বলব নাকো রূপকথা।