স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। এজন্য সারাদেশের সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স থাকার দরকার নেই। তবে এর মানে এটা নয় যে আমরা উচ্চশিক্ষাকে সংকোচন করতে চাই। আমরা এটাকে পুনর্বিন্যাস করতে চাই।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রংপুরে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, চাকরি দাতা এবং চাকরি প্রত্যাশীদের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আমরা এটাকে কমাতে চাই। শিক্ষার্থীদের বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, পরমতসহিষ্ণু এবং বিশ্বনাগরিক হিসেবে তৈরি করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সময়ের চাহিদা মাথায় রেখেই প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কোর্স-কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। এটি যখন চালু হবে, তখন বড় পরিবর্তন আমরা দেখতে পাবো। চাহিদার উপর ভিত্তি করে উচ্চশিক্ষার কারিকুলামও তৈরি করতে হবে। নতুন কারিকুলাম তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মাথায় রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণা ও উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে বরাদ্দ কোনো সমস্যা নয়।

এসব খাতে পর্যাপ্ত সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। এটা যেন না হয়। নতুন নতুন গবেষণা শুরু করতে হবে। এটি হঠাৎ করে হয় না। লেগে থাকতে হয়। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের গবেষণায় সকল সুযোগ নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর, যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রংপুর অঞ্চলের ২৪৭টি কলেজের অধ্যক্ষরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষরা। এ সময় সরকারি, বেসরকারি, প্রফেশনাল কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু সবার আগে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে করণীয় বিষয়ে বার্তা পৌঁছে দেওয়া জরুরি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, স্নাতকোত্তর শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম প্রমুখ।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২০, ২০২১)