অান্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডনের এক নৈশক্লাবে ২০ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অতিরিক্ত মাত্রায় এক্সটেসি (এক ধরনের উত্তেজনাপূণ মাদক যা সেবনে পরমানন্দ লাভ করা যায়) বলে ধারণা করা হয় সেটা গ্রহণের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই তরুণী মারা যায়।

অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেইলর মে উডয়ার্ড নামের ওই তরুণী বোর্নেমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনোদন সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করতেন। ব্রিক্সটনের এক নৈশক্লাবে প্রেমিক অ্যালেক্স রিকেটের সঙ্গে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সেখানে তারা দুজন এক গ্রাম এক্সটেসি ভাগাভাগি করে গ্রহণ করেন।

ক্লাব থেকে প্রেমিকের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওরসেসটার পার্কের বাড়িতে ফেরার পর তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। রেকিট তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। দ্রুত কিংস্টন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই তরুণীর বাবা রাসেল উডওয়ার্ড আদালতে বলেন, প্রথমবর্ষে পড়ার সময়ই আমার মেয়ে স্বীকার করেছিল সে মাদক নেয়। এসময় আমি তাকে মাদক নিতে নিষেধ করেছিলাম। সে বলেছিল এখন থেকে আর তা নেবে না।তবে আমার মেয়ে মাঝে মাঝে মাদক নেবে এটা আমি বিশ্বাস করতাম। কিন্তু সে প্রতিদিনই মাদক নেবে তা আমি বিশ্বাস করিনি।

টেইলরের প্রেমিক জানান, তারা রাত ১১ টার দিকে নৈশক্লাবে যান এবং অল্প পরিমাণ ভদকা এবং ওয়াইন নেন। এরপর তারা টয়লেটে গিয়ে এক্সটেসি গ্রহণ করেন।

কিংস্টন হাসপাতালের ডা. ফিলিপ হ্যালিডে বলেন, টেইলর মদের সঙ্গে ২৫০মিলি এক্সটেসি গ্রহণ করেছিলেন।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪)