আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার পথে নৌকাডুবে মারা গেছেন দুই ডজনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। নিহতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও একটি শিশুও রয়েছে। গত বুধবারের (২৪ নভেম্বর) এ ঘটনা ২০১৪ সাল থেকে ইংলিশ চ্যানেলে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ৩১ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছিল। তবে পরে তা সংশোধন করে ২৭ জন বলে জানানো হয়েছে।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, বেলজিয়ান সীমান্ত থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটিতে মানবপাচারে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে একজন এখনো নিখোঁজ।

ইংলিশ চ্যানেলে একসঙ্গে এত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ‘আতঙ্কিত’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবপাচার বন্ধ করতে যুক্তরাজ্য চেষ্টার কোনো খামতি রাখবে না।

ইংলিশ চ্যানেলে এত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ‘আতঙ্কিত’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবপাচার বন্ধ করতে যুক্তরাজ্য চেষ্টার কোনো খামতি রাখবে না।

দুর্ঘটনার পরপরই টেলিফোনে কথা বলেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। মানুষের জীবন বিপণ্নকারীদের ধরতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে পারস্পরিক সহযোগিতায় সম্মত হয়েছেন তারা।

এছাড়া, ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অভিবাসনের ঢেউ থামাতে ইউরোপীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ম্যাক্রোঁ।

রেড ক্রস অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর এ ঘটনাকে ‘সত্যিই হৃদয়বিদারক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০২১)