১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
কেন্দুয়ায় ভাতিজিকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাচা খুন
সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : ভাতিজিকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রোকন নামের এক ব্যক্তি সন্ত্রাসী হামলায় নির্মম ভাবে খুন হয়েছেন। তার বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে। নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করত কেন্দুয়া উপজেলার কাউরাট শিমুলাটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান জয় (২০)। উত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়েই ওই ছাত্রীর চাচা রোকন নির্মমভাবে খুন হন।
এ ঘটনায় রোকনের স্ত্রী সাজেদা আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কেন্দুয়া থানায় বখাটে মেহেদি হাসান জয়কে প্রধান আসামী করে এজাহারে আরো ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহত রোকনের ভাতিজি নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ভাবে উত্যক্ত করত মেহেদি হাসান জয়। এ ঘটনা নিয়ে মেহেদি হাসান জয়কে বার বার সতর্ক করলেও কোন অবস্থাতেই বাঁধা নিষেধ মানছিলনা। ২৪ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর নওপাড়া বাজারের জুতার ফ্যাক্টরির পাশে এ ঘটনা নিয়ে শালিশ বৈঠক বসেছিল কিন্তু বৈঠক শেষ হবার আগেই মেহেদি হাসান জয় তার সহযোগীদেরকে নিয়ে রোকনের উপর ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী কাউরাট গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাকিব গুরুতর আহত হয়। আহত রোকন ও রাকিবকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন এবং রাকিবকে ময়মনসিংহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাকিব বর্তমানে ময়মনসিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মেহেদি হাসান জয়কে গ্রেফতার করেছে। জয় আহত হয়ে ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে সেখানেই গ্রেফতার করে। ওই হাসপাতালেই পুলিশী প্রহরায় চিকিৎসাধীন আছে জয়। এদিকে এলাকাবাসী চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন।
(এসবি/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২১)