বাগেরহাট প্রতিনিধি : উপকূলীয় ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতংকে সতর্ক রয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুপুরে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূলে অবস্থান করছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে রয়েছে বাগেরহাটের উপকূলবাসী। শনিবার দিনভর সুর্য্যরে দেখা মেলেনি। বিকাল থেকে গুমোদ আবহাওয়ার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে আসড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। এই অবস্থায় উত্তাল সাগেরে টিকতে না পেরে সকাল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের ছোট ছোট খালসহ শারণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য অবতরন কেন্দ্র কেবি ফিশারী ঘাটে অবস্থান নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের নদীর পানি ২৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে, তা এখনও বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। রাতের জোয়ারে পানির চাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ধেয়ে আসা খবরে দেশী বিদেশী পর্যটক, দুবলা শুটকী পল্লীর জেলেসহ সকল কর্মকর্তা বনরক্ষীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় টিকতে না পেরে কয়েক শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, সুপতি, দুবলা, মেহের আলী, হিরন পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানের ছোট ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রস্তুতির বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হলেও আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা ও রামপালসহগ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। প্রয়োজন পড়রে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

(এসএকে/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২১)