এম এ হীরা গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : রাজবাড়ী জেলা সদরে ৪র্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে, আসন্ন রামকান্তপুর ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে গ্রামে-গ্রামে, মহল্লায়-মহল্লায় ভোট চাওয়া নির্বচনী প্রচারনার জনসভাসহ হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে নির্বাচনী আলোচনা। প্রতিটি আলোচনায়ই রয়েছে নৌকার মাঝি হিসাবে আবুল হাসেম বিশ্বাসের জনপ্রিয়তা, রয়েছে অনান্য প্রার্থীর চেয়ে ব্যাপক প্রচারনা। সবাই মনে করছেন, রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে আবুল হাসেম বিশ্বাসের  মত একজন সৎ, নির্ভীক ও মেহনতি মানুষের বন্ধু নৌকার মাঝি হয়ে স্থানীয় সরকার হিসাবে পুনরায় আসলে উন্নয়নের ধারা উপচে পড়বে। দেশের অনান্য ইউনিয়নের চেয়ে রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ হবে একটি উন্নয়নের রোল মডেল। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আবুল হাসেম বিশ্বাস দলীয় প্রার্থী হওয়ায় ব্যাপক  জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনী প্রচারনায়ও রয়েছে সর্বাপেক্ষা এগিয়ে।

যখন মহামারী করোনা ভাইরাসে সমগ্র বিশ্ব আতঙ্কিত ও জর্জরিত তখন কর্মক্ষম মানুষের আহাজারি আর্তনাদে পাশে থেকে সর্বদা নিজ অর্থায়নে চাল, ডাল, তেল, লবণ, সবজির পাশাপাশি করোনা কালিন সময়ে মানুষের মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটিজারসহ নগদ অর্থায়নে পাশে ছিলেন গরীব দুখি ও মেহনতী মানুষের বন্ধু আবুল হাসেম বিশ্বাস।বর্তমান সময়েও প্রতিনিয়ত কোন হতদরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে চলেছেন তিনি।

তাই রামকান্তপুর ইউনিয়ন বাসি গরিব দুখিনী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদকে উন্নয়নের রোল মডেলর জন্য নৌকার মাঝি হিসাবে পুনরায় আবুল হাসেম বিশ্বাসকে দেখতে চায়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ও আপামর সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, করোনাকালিন সময়ে আবুল হাসেম বিশ্বাস নিজ অর্থায়নে ইউনিয়নবাসির পাশে থেকে ওষুধ, খাদ্য, নগদ অর্থসহ ঈদের সময়ো চাল, তেল, লবন, বস্ত্র ও ঈদ করার জন্য নগদ অর্থ দিয়ে সর্বদা পাশে থেকে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা জানিনা এরকম নজীরবিহীনভাবে মানুষের পাশে আর কেউ ছিল কি-না?। তাই আমরা, আমাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য আবুল হাসেম বিশ্বাস ভাইকে এবারো নৌকার মাঝি হিসাবে দেখতে ও আমাদের বন্ধুর মত সর্বদা একজন জনদরদী, সৎ-নিষ্ঠাবান, দ্বায়িত্বশীল অভিভাবককে পাশে পেতে নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবই ইনশাআল্লাহ। তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই গ্রামীন অবকাঠামো ব্যাপক উন্নয়ন, শিক্ষা, মাদকমুক্ত সমাজ, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন করে এক দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছেন। তিনি পুনরায় চেয়ারম্যান হিসাবে আসলে একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি বা চেয়ারম্যান পাবে এলাকাবাসী।

এক ভোটার বলেন, আমার জীবনে অনেকে দেখেছি ভোটের সময় হলে খুব খোঁজ-খবর নেন নানা প্রতিশ্রুতি দেন।নির্বাচনে জয়জুক্ত হয়ে সব ভুলে যায়। কিন্তু, আমাদের এই হাসেম বিশ্বাস নির্বাচন তো দূরের কথা, করোনার সময় আমার ঘরে চাল ছিল না তখন চাল, ডাল, লবন, সবজি দিছে। জীবনে অনেককেই তো ভোট দিলাম, আমার ভোটটা আবুল হাসেম বিশ্বাসের মত যোগ্য প্রার্থীকে পুনরায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে নিজেকে ধন্য করতে চাই। আমি দোয়া করি ও যেন এই নির্বাচনে জয়ী হয়।

(এমএএইচ/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০২১)