আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে কাতার এবং তুরস্ক। আফগানিস্তানের পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মানবিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দোহা কাজ চালিয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল থানি বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এগুলো নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কাতার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নিশ্চয়তা দিতে কাতার তাদের মিত্র দেশ তুরস্ক এবং তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কাতার-তুরস্কের সংলাপের ৭ম বার্ষিকীতে কৌশলগত অংশ হিসেবে এই দুই দেশ একত্রিত হওয়ার পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে বসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন শেখ মোহাম্মদ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নেতৃত্বে দুই দিনব্যাপী এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সামরিক, স্বাস্থ্য, পর্যটন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে কমপক্ষে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মঙ্গলবার এই বৈঠক শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের শান্তি এবং স্থায়িত্ব নিয়ে তুরস্ক কাজ করতে চায় বলে উল্লেখ করেছেন মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তালেবানের সঙ্গে সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। আমরা সে বিষয়েই কাজ করছি। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরায় চালু রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তুরস্ক কাতারকে সহযোগিতা করছে।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০২১)