অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কাতলাগাড়ি বাজারে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নৌকা প্রার্থীর শোডাউনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭/৮ জন আহত ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকের তিনটি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের দুই গ্রপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কাতলাগাড়ি বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শৈলকূপার সারুটিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম মামুন তার পিতার কবর জিয়ারত করে বাখরবা গ্রাম থেকে শৈলকূপায় আসছিলেন। পথিমধ্যে কাতলাগাড়ি বাজারে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কয়সার টিপুর নির্বাচনী অফিসের সামনে তারা শ্লোগান ও উস্কানীমুলক শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস থেকে তার সমর্থকরা প্রতিউত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের মধ্যে শ্লোগান পাল্টা শ্লোগানের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় ভাটবাড়িয়ার আজিবর মেম্বর, আব্দুল আলীম, গোসাইডাঙ্গা গ্রামের বিপ্লব, ফারুক, আইজাল, আব্দুল, ফল্টুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, তারা নৌকার মনোনয়ন ফরম আনতে দলীয় মাতব্বর ও নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহে এমপি আব্দুল হাইয়ের কাছে যান। মনোনয়ন ফরম নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে বিকেলে নিজ ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে পৌছায়। এসময় প্রতিপক্ষ জুলফিকার কাইসার টিপুর ক্যাডার বাহিনী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার শিকার হয়ে তারা মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় প্রতিপক্ষরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। হামলায় তার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন দাবী করেন। নৌকার মনোনয়ন ফরম ছিনিয়ে নিতে ও এলাকায় আতংক সৃষ্টি করতে এ হামলা করা হয় বলে মামুন অভিযোগ করেন।

বিষয়টি নিয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কাইসার টিপু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামুনের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দের কারণে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে তার কোন সমর্থক জড়িত নয়।

শৈলকুপার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাতলাগাড়ী বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কেউ মামলা করেননি।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০২১)