রাজন্য রুহানি, জামালপুর : বহুল সমালোচনায় পদত্যাগী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তাকে জামালপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি।

তিনি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে দলের এক জরুরি সভায় তাকে ওই পদ থেকে সর্বম্মতিক্রমে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

জরুরি সভা শেষে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক বিব্রতকর বক্তব্য, অসাংবিধানিক এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তিগত আচরণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ কারণে তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের গঠতন্ত্রের ৪৭ এর ৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের অনুলিপি অনতিলম্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রেরণ করা হবে।

সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই নেতা বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি থাকবেন কিনা এটি হচ্ছে একটি সাংবিধানিক প্রশ্ন। এ বিষয়টি একমাত্র সংসদের মাননীয় স্পীকার এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলতে পারবেন।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, অ্যাডভোকেট আমান উল­াহ আকাশ, ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, আবু জাফর শীশা, অধ্যাপক আশরাফ হোসেন তরফদার, অধ্যাপক আব্দুল হামিদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান প্রমুখ।

অন্যদিকে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জায়মা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় এক বিক্ষোভ শেষে ডা. মুরাদ হাসানকে জামালপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের স্টেশন বাজার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দলটির নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে জামালপুর প্রবেশে প্রতিহত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

বিএনপি নেতারা বলেন, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করা হবে।

জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী, যুগ্মসম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিব, শহর বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।

(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০২১)