তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ভুয়া ও ব্যবহৃত ‘ব্যান্ডরোল’ ব্যবহার করে প্রতিমাসে কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবাদে চলছে ব্যবসা। উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, জেলার হাট বাজারে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিড়ি ও তামাকজাত পণ্য সরবরাহ করে আসছে কিছু অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী। তবে এর সাথে কতিপয় কাস্টমসের কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে।

জেলায় ছোটবড় মিলে কয়েকটি তামাকজাত পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর মধ্যে হবিগঞ্জ শহর এলাকায়ই সিংহভাগ অবস্থিত। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ডিলারদের গোদামে অভিযান চালালেও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে রাঘব বোয়ালরা। এদের প্রত্যেকেই নিয়মিত বিড়ির প্যাকেটে সরকারের সরবরাহকৃত ব্যান্ডরোল ব্যবহার না করে করে ভূয়া ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল দিয়ে বিড়ি বাজারজাত করে আসছিলেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হবিগঞ্জের একজন বিড়ি বিপনণকারী জানান, জেলায় প্রতিদিন ১০/১৫ ধরনের বিড়ি সরবরাহ করা হয়। এদের বেশীভাগই নেই বৈধতা, জনৈক শফিক মিয়ার নেতৃত্বে চলে এ ব্যবসা। এদের অনেক গুলোতে লাগানো হয় ভুয়া ও ব্যবহৃত ‘ব্যান্ডরোল’ পল্লী বিড়ি নামে এক ধরনের বিড়ি সরবরাহ করা হয় হবিগঞ্জে। পল্লী বিড়ির ডিলার ৭ টাকা ৫০ পয়সা মূল্যে প্রতি প্যাকেট দোকানদার কাছে বিক্রি করে থাকেন। দোকানদাররা ২ টাকা ৫০ পয়সা লাভে সেই বিড়ি ক্রেতাদের কাছে ১০ টাকা ধরে বিক্রি করেন। রহস্যজনক তথ্য হলো ৯ টাকা ৫০ পয়সা সরকারকে ট্যাক্স প্রদানের ভূয়া ‘ব্যান্ডরোল’ ব্যবহার করা হয় বিক্রয়কৃত বিড়ির প্যাকেটে। এভাবেই প্রতিদিন হবিগঞ্জে প্রায় ২ লাখ টাকার নকল ‘ব্যান্ডরোল’ যুক্ত বিড়ি বিক্রি করা হয় হবিগঞ্জে যা মাসের হিসেবে প্রায় কোটি টাকা। শুধু পল্লী বিড়ি’ই নয়, হবিগঞ্জে শান্ত বিড়ি, মল্লিক বিড়ি, মোমিন বিড়ি ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে গোপনে।

হবিগঞ্জ আবগারী ও ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রনয় চাকমা জানান, এ রকম কোন তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(টিএইচ/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০২১)