সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারী ধর্ষণ মামলার আসামী হানিফ মিয়া ০৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারন সদস্য পদে (মেম্বার) পদে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন । মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ ছিল ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। 

নেত্রকোণারকেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে হানিফ। স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে। এর পর ক্ষতিগ্রস্থ ওই নারীর মা বাদী হয়ে চলতি বছরের গত ২৪ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)৩০ ধারা মোতাবেক কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৯ (৯) ২১।

হানিফ নওপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। ভরাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শবর্তী মাইজকান্দি গ্রামের এক বাড়িতে এনে তাকে ধর্ষন করে। ক্ষতিগ্রস্থ ও ই নারীর মা অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষনের পর ঘটনাটি জানাজানি হলে হানিফ মেম্বার তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে গ্রাম শালিসের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু অবশেষে আর শেষ রক্ষা হলনা।

এলাকার অনেকেই বলেন, হানিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর আরো অনেক অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু একটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে মঠোফোনে জানতে চাইলে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে হানিফ মেম্বার বলেন, মামলার বিষয়টি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি নিয়ে এসে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি। মামলার সত্যমিথ্যার বিচার হবে আদালতে। আমি সেই আদালতের বিচারের অপেক্ষায় আছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই ছামেদুল হক বলেন, হানিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্তাধীন আছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা মামলার তিনি এফআইআর ভূক্ত আসামী হানিফ। মামলা থাকাকালিন সময়ে নির্বাচন করার অধিকার আছে কিনা এ বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।

(এসবি/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০২১)