কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : ৫০ বছরেও কেন্দুয়া উপজেলার দুই শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি রক্ষার্থে দুইটি সড়কের পাকা ও নামকরণ হয়নি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামি জনতা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দুটি পাকা ও নামকরণের দাবি জানিয়ে আসলেও এসব দাবি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। সাঁইডুলি নদীর তীরে নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রামের পাশে অবস্থিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখলেছুর রহমান খান পাঠানের নামে মাত্র কবরটি অযত্ন অবহেলায় এবং অরক্ষিত অবস্থায় পরে আছে। শুধুমাত্র মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস এলেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দুই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিশেষ দোয়া পড়া হয়। এছাড়া সারা বছরেও আর কেউ কোন খোঁজ খবর নেন না।

জুড়াইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিন ভূঞা বলেন, কবর ও সড়ক পাকা ও নামকরণের জন্য প্রতিবছর আমরা দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু মুখে মুখে উন্নয়নের ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কোন উন্নয়নই হচ্ছেনা। দুষ্কৃতিকারীরা নামে মাত্র কবরটির নামফলকও ভেঙ্গে ফেলেছে। বাস্তবে কোন কিছুরই উন্নয়ন হচ্ছেনা।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল কদ্দুছ খন্দকার লালচান বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সাইডুলি নদীর তীরে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখলেছুর রহমান খান পাঠানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হন। কিন্তু অল্পের জন্য তিনি জীবনে রক্ষা পান।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা বেঁচে থাকতে বোধ হয় এই সড়কের পাকাকরণ এবং নামকরণ দেখে যেতে পারবনা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিকট এই সড়কটির নামকরণ ও পাকাকরণের দাবি জানান তিনি। অপর দিকে কচন্দারা গ্রামে শহিদ মুখলেছুর রহমানের কবরটি পাকা করা হলেও সড়কটির নামকরণ ও পাকাকরণ করা হয়নি। সড়ক দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার বলেন, সড়ক দুটি পাকাকরণের দাবি সবারই আছে। সড়ক দুটি পাকা হলে নামকরণের বিষয়টি আমরা করে দিতে পারব।

(এসবি/এএস/ডিসেম্বর ১৫, ২০২১)