দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল জলিল।

তিনি জানান গত ১২ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানাধীন মাচচর ইউনিয়নের খলিপুর গ্রামে অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পাওয়া যায়।

লাশ পাওয়ার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ক্রাইমসিস সংরক্ষণ করেন এবং পিবিআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ভিকটিমের অনুসন্ধান করা হয় এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে সুফিয়া বেগম (৩৩) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় বলে শনাক্ত করা হয়।

এরপর ভিকটিমের পরিবার সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরেরদিন ভিকটিমের ভাই অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করেন। এর আগে থেকেই পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে পুলিশ ঘটনাটির আন্দাজ করতে পারে। পরবর্তীতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার সহযোগিতায় আসামি রিপন মল্লিক (২০) পিতা আলমগীর হোসেন শিবরামপুর ছোট বটতলা থানা কোতোয়ালি ফরিদপুর কে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামি ভিকটিমকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর লাশ পাশে নালায় ফেলে দেয়। এবং ভিকটিমের হ্যান্ড ব্যাগ তার দেখানো স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান ভিকটিমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ের জন্য চাপাচাপি করলে গাজীপুর থেকে তাকে নিয়ে আসে হত্যা করে তা বাস্তবায়ন করে।

পুলিশ হত্যা মামলার হওয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাত্র ৩ দিনে অজ্ঞাতনামা আসামিকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়। এটা পুলিশের এক ধরনের বড় সাফল্য বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

(ডিসি/এএস/ডিসেম্বর ১৬, ২০২১)