মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : আগামী রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) অথবা সোমবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্র সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রথমে সম্মুখসারির চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক মানুষ এবং যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যেমন ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুস্টার ডোজ প্রদানের অনুমতি দিয়েছেন। এজন্য সুরক্ষা অ্যাপস আপডেট করা হচ্ছে। তালিকাও তৈরি করছি।

দেশে ভ্যাকসিনের অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে প্রায় ৬০ লাখ ফাইজারের ভ্যাকসিন মজুত আছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি ভ্যাকসিন আসবে। এতে কোনো অভাব হবে না। এখন সব ভ্যাকসিন মিলিয়ে সরকারের হাতে পৌনে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন আছে।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবাই দোয়া করবেন যাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং ভ্যাকসিন নেবেন। তবেই করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। (করোনা) নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হবে। অর্থনীতিতে ক্ষতি হবে এবং সমাজব্যবস্থায় ক্ষতি হবে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য সবখানেই ক্ষতি হবে। কাজেই সবার স্বার্থেই স্বাস্থ্যবিধি যেটা আছে সেটা মেনে চলতে হবে।’

করোনার আফ্রিকান ধরন ওমিক্রনের কারণে বুস্টার ডোজ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন মাস পর করোনার বিরুদ্ধে টিকার কাযর্কারিতা কমতে শুরু করে। আর দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর তা অনেকটাই কমে যায়। কাযর্কারিতা কমে যাওয়ার কারণে ছয় মাস পর করোনায় অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিলেও সংক্রমণ ঝুঁকি থাকে। তাই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।’

দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বর্তমানে ভাইরাসটির আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশে দুইজনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। তারা দুজনই জিম্বাবুয়েফেরত জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য। বর্তমানে তারা সুস্থ আছেন।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১৭, ২০২১)