ভ্রমণ ডেস্ক : বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পর্যটন শহর সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শীতের শুরুতেই পর্যটকরা ক্রমশ ভিড় করতে শুরু করেছেন। পাহাড়ের কোলঘেঁষা সবুজময় শতবর্ষী চা বাগান যেনো প্রকৃতির যেন এ আরেক অনন্য রূপ। শ্রীমঙ্গলের চারপাশ জুড়ে ছোট বড় উঁচু-নিচু টিলা আর হরেক রকম গাছ-গাছালি। টিলার পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়ক। সড়কের কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু। যেনো দেশের ভেতর অন্যরকম এক দেশ। চায়ের দেশ, মেঘের দেশ, বন-বনানী, টিলা আর হাওরের দেশ এ শ্রীমঙ্গল। যেখানে বাস কওে বাঙালী ছাড়াও অনেকগুলো নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষজন। শ্রীমঙ্গলের বৈচিত্রময় এসব স্থান দেখতে বিদেশ থেকেও ভ্রশণ পিপাসু পর্যটকরা ছুটে আসেন।

দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ি ছড়া, চা বাগান, বনাঞ্চল, ঝর্ণধারা সমৃদ্ধ শহর শ্রীমঙ্গল প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে তীর্থভূমি। এখানে চাবাগানই সাধারণ ভ্রমনার্থীদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ছোট-বড় মিলিয়ে এ উপজেলায় চা-বাগান ৩৮টি।এর মাঝে অনেকগুলোই শতবর্ষী। চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল যাবেন অথচ সাত রং চায়ের স্বাদ নেবেন না, তা কী করে হয়! একই গ্লাসের মধ্যে স্তরে স্তরে সাজানো সাত রং চা! তরল পানীয়কে কীভাবে সাত স্তরে সাজানো সম্ভব! ব্যাপারটি বিস্ময়েরই বটে। অর্ডার করলে সেই চা আপনাকে পরিবেশন করা হবে। প্রতি কাপ চায়ের মূল্য মূল্য ৬০-৭০-৯০ টাকা। ভ্রশণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিজের চাহিদামহ বাগানের টাটকা চা , মৌসুমী ফল, মণিপুরী পোষাক , শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, তৈায়ালে , বিচানার চাদর কিংবা হস্তশিল্পের তৈরী কাঠ বাঁশের তৈরী বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী কিনে নিতে পারবেন শ্রীমঙ্গল শহরেই। শ্রীমঙ্গল সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেয়া যায় :- বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পর্যটন শহর সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল।

এ শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের আয়তন রয়েছে ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার। চা বাগানের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০টি। রাজধানী ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। যাতায়াত:ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে যাওয়া যায় শ্রীমঙ্গল। তবে বাসে যদি যান, রাস্তা ফাঁকা থাকলে ট্রেনের আগেই পৌঁছাবেন। ঢাকা হতে রেলপথে শ্রীমঙ্গল পৌছে, শ্রীমঙ্গল হতে সড়ক পথে মৌলভীবাজার জেলায় আসা যায় ।কিন্তু নৌ এবং আকাশ পথে ঢাকা হতে মৌলভীবাজার জেলায় সরাসরি পৌছাবার কোন ব্যবস্থা নেই। আকাশ পথে ঢাকা হতে সিলেট এসে, তারপর সিলেট হতে সড়ক পথে মৌলভীবাজারে আসা যায়।


লেখা ও ভিডিও : শিহাব সরোয়ার শিপু,শিক্ষার্থী ও পর্যটক।