তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : বন থেকে লোকালয়ে এসে ১২জনকে আহত করার পর অবশেষে এক মেছোবাঘকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে স্থানীয় জনতা। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের পাঁচগ্রাও গ্রামে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে উপজেলার রাজার বাজার, কালিশিরি, রানীরকোট ও কিরতাই গ্রামে মেছো বাঘের আক্রমণে ১২জন আহত হয়। হঠাৎ লোকালয়ে বাঘের আক্রমণে এলাকাবাসীর মধ্যে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করলেও স্থানীয় লোকজন বন বিভাগের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ করেন।

তারা জানান, পাশের কালেঙ্গা পাহাড় থেকে মেছোবাঘ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকবার জনপদে প্রবেশ করে মানুষের ওপর পরপর আক্রমণ করে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে যাঁদের পরিচয় পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন, রাজারবাজার এলাকার খালেক (৬০), খোকন মিয়া (২৪), রানীরকোট গ্রামের মানিক মিয়া (৪০), নাম না জানা এক মহিলা ভিক্ষুক (৫০) ও ফুল মিয়া (৩৫)। আহতদের চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর খালেক মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।

রাজারবাজার এালাকার বাসিন্দা প্রণব কুমার দেব অভিযোগ করেন, বিষয়টি তৎক্ষণাৎ বন বিভাগকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরবন্দি হয়ে ছিল তারা। শনিবার গত ৮ জানুয়ারী স্থানীয় এক কৃষকের বাড়িতে মুরগির খোঁয়াড়ে একটি মেছো বাঘ হানা দেওয়ার সময় খোঁয়াড়ের মুখে পাতা জালে মেছো বাঘটি আটকে যায়। এ সময় গ্রামবাসী প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা ও দেড় ফুট উচ্চতার এ বাঘটি পিটিয়ে মেরে ফেলে।

গ্রামবাসী জানায়, পুরুষ বাঘটি মেরে ফেলার পর আশপাশে আরও বাঘ থাকতে পারে। এর আরও সঙ্গী-সাথী বাঘও এ গ্রামেরই কোনো ঝোপ-জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করেও সম্ভব হয়নি।

(টিএইচ/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২২)