নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মা-মেয়েসহ চারজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ভেসে ওঠা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

এদের মধ্যে একই পরিবারের নিখোঁজ চারজনের ভেতর মা-মেয়ে রয়েছে। এরা হলেন- জেসমিন ও তার মেয়ে তাসমিন। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছে আরও ছয়জন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস বলেন, একই পরিবারের নিখোঁজ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকার নদীর কিনার থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। একই সঙ্গে নিখোঁজ বাকিদের সন্ধানে আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে।

৫ জানুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে নিখোঁজরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে কিশোরগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, রেকমত আলীর ছেলে মোতালেব, চর বক্তাবলী এলাকার রাজুর ছেলে সাব্বির, মধ্য চরের সোহেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, সোহেলের ছেলে তামীম খান, মেয়ে তাফসিয়া, তাসমিম ওরফে তাসলিমা, আওলাদ, মো. শামসুদ্দিন ও জোসনা বেগম।

এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপ- পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় গ্রেফতার মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ চালক মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।

(ওএস/এএস/ ডিসেম্বর ৯, ২০২২)