স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেকের (মোছা. সাইদা গাফফার) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় তার ভাড়া বাসার অদূরে এ মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মো. আনোয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইদা ওই বাসায় থেকে তার একটি প্রকল্পের দেখাশোনা করছিলেন। আর আনোয়ার ছিলেন সেই প্রকল্পের কন্টাক্টর।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাইদা খালেকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি যে বাসায় ভাড়া থেকে নিজের প্রজেক্ট দেখাশোনা করছিলেন, সেখান থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে মরদেহটি পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আনোয়ার নামে একজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়ে ওসি বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেককে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, তিনি একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল। শ্রমিকরা বাড়ি নির্মাণের জন্য কিছু দাবি করছিল তার কাছে। তাদের সঙ্গে হয়তো সাইদা খালেকের মনোমানিল্য হয়েছিল। দুদিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। আজ সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৭১ বছর বয়সী সাইদা।

কাশিমপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় সাইদার প্রজেক্টের কন্টাক্টর আনোয়ার তার ছেলের মোবাইলে ফোন করে জানান, বাসার দরজা খোলা এবং সাইদাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। রাত সোয়া ৯টায় তার ছেলে ও মেয়ে সাদিয়া আফরিন সেই বাসায় এসে তার মাকে কোথাও খুঁজে পাননি। পরে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় এ সংক্রান্ত জিডি করেন। যার নম্বর-৫৮৮ তারিখ-১৩/০১/২০২২খ্রি.।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২২)