শাবিপ্রবি প্রতিনিধি : ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন লিজাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, ওই হলের ছাত্রীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। হল প্রভোস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে থাকায় সহকারী প্রভোস্ট জোবেদা কনক খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীরা যেন আমাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পায় আমরা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

‘শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ন্যায্য দাবি পূরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে সুযোগ-সুবিধা প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টায় আছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যা যা প্রয়োজন আমরা তা দিচ্ছি। রাতারাতি তো আর সবকিছু পূরণ করা সম্ভব না। বর্তমানে আবাসিক হলের পরিবেশ অনেক ভালো আছে, দিনে দিনে আরও ভালো হবে।’

শাবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেকগুলো দাবিই পূরণ হয়ে গেছে। আজ দুপুরে তারা ১২ জনের টিম এসেছিল। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তাদের কথা শুনেছি। ছাত্রীদের সবকিছু বুঝিয়ে বলেছি। তারা আমাদের কথায় সন্তুষ্ট হয়েছে। আমরা বলেছি, কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমাদের জানাতে।’

তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে ও শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।

ছাত্রীদের দাবিগুলো হলো-পুরো হল প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে, অবিলম্বে হলের অব্যবস্থাপনা নির্মূল করতে হবে, হলের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিতে হবে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৪, ২০২২)