মো. আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : শীত আসলে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে কম বেশি সবার হয়। বিশেষ করে শীত প্রধান অঞ্চল শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্পট, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, বাইক্কা বিল, অসংখ্য চা বাগান, দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট ও অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোতে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা।

পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনে এমনিতেই বছরজুড়ে ঘুরে বেড়াতে হয় জেলার নানা প্রান্ত। তবে এবারের এই শীতে সম্প্রতি ঘুরতে গিয়েছিলাম নিজ জেলা মৌলভীবাজারের পর্যটন সমৃদ্ধ শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা নাহার চাবাগানে। দুর্গম পাহাড়ী জনপদ হওয়া স্থানটিতে নিরাপদে পৌঁছাটাও বেশ দূরূহ। শ্রীমঙ্গলের অনেকগুলো পর্যটন স্পট থাকার পরও ঘুরে বেড়ানোর জন্য এই জায়গাটি বেছে নেয়ার কারণ হলো এটির অবস্থান দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় ভ্রমনটা বেশ রোমাঞ্চকর। বাগানটির অভ্যান্তরে রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির বসবাস। নাহার পুঞ্জি নামক খাসিয়া পুঞ্জিতেই এরা বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি এই বাগানটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে সেখানকার গহীণ বনে অবস্থিত গিরিখাদ নিয়ে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটারের দূরত্বে এই চাবাগানটির অবস্থান। শহরের কালিঘাট সড়ক হয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দফতরের সামনের সড়ক দিয়ে অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরই দেখা মিলবে ফিনলে চা বাগান এলাকা। ফিনলে চা বাগানের পিচঢালা রাস্তা দিয়ে চলতি পথে চোখে পড়বে নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতির দারুণসব দৃশ্য। যাতায়াতের সময় টিপরাছড়া নামক জায়গাটি অতিক্রম করতেই দৃষ্টি পড়ে ফিনলের মালিকানাধীন টিপরাছড়া গল্ফ মাঠের দিকে। বিস্তৃত গল্ফ মাঠটির সবুজ ঘাসের দিকে তাকালে মনে হবে যেন মায়াবি চাদরে মোড়ানো। অনেকটা পৃথিবীর ভু-স্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের কোন শুটিং স্পটের মতো। এরকম গল্ফ মাঠ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলিউডের সিনেমার বিভিন্ন রোমান্টিক গানে দেখা মিলে।

টিপরাছড়া গল্ফ মাঠ অতিক্রম করে প্রায় পৌঁনে একঘন্টার পথ বেয়ে নাহার চা বাগান পৌঁছার প্রথম গেটে গিয়ে থামে আমাদের বহনকরা জীপ গাড়িটি। চলতি পথে ২০ কিলোমিটারের অর্ধেকই কাঁচা রাস্তা হওয়ায় বাগানে পৌঁছার পথটাও বেশ কষ্টস্বাধ্য। যাতায়াতের সময় চোখে পড়ে আকাঁবাঁকা প্রাহাড়ী উঁঁচুনিচু টিলা অর সবুজ বিস্তৃৃর্ণ অসংখ্য চা বাগান। গাড়ি দিয়ে চলতি পথে চোখে পড়া একটি উঁচু টিলা অতিক্রমের সময় মনে হবে এই মনে হয় মাথার উপর আছরে পড়ছে পাহাড়ের উপর থেকে পাথরখন্ডের টুকরো অথবা পাহাড় ধসে পড়ছে। এমন ভয় আর শঙ্কা নিয়েই এর গন্তব্য পৌঁছতে হবে। তবে যাদের হার্টের ঝুঁকি আছে তাদের এমন দূর্গম টিলা দিয়ে যাতায়াত না করাটাই উত্তম। তবে যাতায়াতের সময় এরকম বিশাল আকৃতির অসংখ্য টিলা চোখে পড়বে।

বাগানের প্রধান ফটক অতিক্রম করে দেখা হয় সেখানকার প্রবেশ পথের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা বাগান শ্রমিকের। পরিচয় দিতেই বললেন বড় সাহেব আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। এর পর আমাদের সোজা নিয়ে গেলেন ব্যবস্থাপক পীযূষ ভট্রাচার্যের বাঙলোতে। মৌলভীবাজার সদরের জগৎসি গ্রামে বাড়ি হওয়ায় আগে থেকেই পরিচয় ছিলো তাঁর সাথে। যেকোন মানুষকে কাছে আপন করে টেনে নেয়ার যাদুকরী ক্ষমতা তাঁর। প্রচন্ড আত্মপ্রত্যয়ী পীযূষ ভট্টাচার্য দেখা হতেই হাসি মূখেই আমাদের বরণ করে নিলেন। চা শ্রমিক কিংবা বাগান সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যবস্থাপক হলেন বড় সাহেব। বৃটিশ আমল থেকেই চাবাগানের বড় সাহেব বা ব্যবস্থাপকের দৈনিনন্দিন জীবন যাত্রা অনেকটা অভিজাত্যে ভরপুর। তাঁর কথাবার্তায় কিংবা চলনে পোষাকেও দেখা মিললো সেই অভিজাত্য’র ছাঁপ। দেখা হওয়ার সাথে সাথে প্রথমে নিয়ে গেলেন তাঁর বাঙলোর সামনের ছোট্র গোল ঘরে। উপরে ছন আর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় চমৎকার এই গোল ঘরটি। গোল ঘরটি নিজেই নিজের মতো করে তৈরি করেছেন তিনি। অবসর সময়ে ক্লান্তি দূর করতে এখানে সময় কাটানো খুবই আরামদায়ক। গোল ঘরটির চারিদিকে লাগানো রয়েছে নানান জাতের ফুলের গাছ। সেখানে বসেই প্রথমে আমাদের জন্য নিয়ে আসা কমলা খেতে আহবান জানালেন। দারুণ এক শান্ত পরিবেশে চা খেতে খেতে আলাপচারিতা শুরু হয় । গোল ঘরটির পিছনেই তাঁর বসবাসের এক মাত্র বাঙলোটির অবস্থান। ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা ছোট্র একটি পাহাড়ী ছড়া। বর্ষায় নাকি এই ছড়াটি পাহাড়ী ঢলের পানিতে টইটম্বুর থাকে। বর্ষায় এই ছড়ায় ঢলের পানিতে প্রচুর মাছও পাওয়া যায়। বর্ষা মৌসুমে এই ছড়া দিয়ে বড়বড় হাতিও দল বেঁধে চলাচল করে। ছড়ার দু’পাশে লাগানো চোখ ধাঁধানো সবুজ সারি সারি চা গাছ।

গোল ঘরে বসে কোশল বিনিময়ের পর পীযূষ জানালেন, সীমান্ত এলাকার গহীণ অরণ্য বেষ্টিত বাগানটির ব্যবস্থাপক হিসেবে কীভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে ২০০৬ সালে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। জানান, দ্বায়িত্ব গ্রহনের সময় ওই এলাকায় ছিলনা বিদ্যুৎ, কোথাও ছিলনা আলো। রাতের বেলা জোনাকি পোকার আলো ছাড়া যেন এখানকার সবই অন্ধকার। প্রয়োজন মতো রাতের বেলা কুপি বাতি দিয়ে কেরোসিন জ্বালিয়ে চলত এখানকার সব কাজ কর্ম। তবুও এককালের রুগ্ন এই চা বাগানটিকে তিলে তিলে নিজের মতো করে সর্বোচ্চ মানের একটি আধুনিক চা বাগানে রূপ দিতে স্বাধ্যের সবটুকুই তিনি এপর্যন্ত ব্যয় করেছেন। তবে এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও সাহস যুগিয়েছে তাঁকে।

গোল ঘরের আলাপচারিতা শেষে নিয়ে গেলেন তাঁর বসবাস করা বাঙলোটিতে। প্রবেশ করতেই জানতে মন চাইল এটি বাঙলো না কী অন্য কিছু! কারন বড় সাহেবের বাঙলো বলে কথা। চাবাগানের ব্যবস্থাপকের বাঙলো সাধারণত যেরকম হওয়ার কথা, এই বাঙলোটি তার উল্টো। নীচতলার ছাদ ইট-সিমেন্টের ঢালাই হলেও উপরতলার ছাদ পুরাতন টিন সেডের মতো দেখতে। নীচতলার প্রবেশ পথের প্রথম কক্ষটি ব্যবহৃত হয় ডাইনিং হিসেবে। আর তার পাশ দিয়েই উপরতলার ছোট্ট সিঁড়ি বেয়ে ছোট্ট দুটি কক্ষ রয়েছে। সেই দুটি কক্ষেই পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। এই বাঙলো নিয়েও জানালেন বেশ চমকপ্রদ তথ্য। ওই ঘরটি এককালে বাগানের মালিক পক্ষের গাড়ি রাখার গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হত। মাত্র সাত ব্যাগ সিমেন্ট দিয়ে কোন রকমে সংস্কার করে বাঙলো হিসেবে থাকার ব্যবস্থা করেন তিনি। তবে থাকার জায়গা প্রস্তুত হলেও রাতের অন্ধকারে আলো জ্বালাবার কোন ব্যবস্থা ছিলনা এখানে। ষোল টাকা দামের দুটি কুপি বাতিই এই অন্ধকার অরণ্যে আলো জ্বালাবার একমাত্র ব্যবস্থা। নির্জন পাহাড়ী জনপদ হওয়ায় বিষাক্ত সাপের উপদ্রব আর অজানা ভয় নিয়েই সেখানে বসবাস শুরু করেন তিনি।

দুপুরে বাঙলোর নীচতলার ডাইনিং রুমে বসে মাছ-মাংসসহ বাহারী পদের খাবারের আয়োজন করা হয় আমাদের জন্য। খাবারের আয়োজনে মুন্সীয়ানার কোন কমতিও ছিলনা। খাবারের আয়োজন কিংবা এর মান দেখে মনে হয়েছে তিনি খাবারের বিষয়ে বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। নিজের প্লেটে খাবার না নিয়ে প্রথমেই আমাদের প্লেটে খাবার দিতে শুরু করলেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে তিনি জানান এই বাগান ঘিরে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। বলেন বর্তমানে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, গ্যাসসহ আধুনিক সব ব্যবস্থা বিদ্ধমান থাকলেও এই বাগানের দ্বায়িত্ব গ্রহণকালে দেশের সব প্রান্থে ডিজিটাল ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলেও এখানে কোন মোবাইল নেওয়ার্ক, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা,ছিলনা আধুনিক কোন ব্যবস্থাও। দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর কর্তৃপক্ষকে অনেক অনুরোধ করলে তারা গ্রামীণ শক্তির সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করে দেন। সেটা দিয়ে মোবাইলের চার্য দেয়া শুরু হলে তা দিয়ে যোগাযোগ শুরু হয়। তবে নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনা আর ভুগান্তি ছিলো শুরু থেকেই। এমন পরিস্থিতিতে মনে হয়না কেউ এতো দীর্ঘ সময়ে টিকে থাকবে এই জায়গাটিতে।

দুপুরে একসাথে খাবারের পর্ব শেষ হতেই কথা বলতে বলতে আমাদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন। উদ্দেশ্য ছিলো চা উৎপাদনের জন্য নির্মিত আধুনিক ফেক্টরিটি দেখা। তবে বাঙলো থেকে বের হতেই চোখে পড়লো বিশাল আকৃতির পাহাড়ের চুড়ায় দৃষ্টিন্দন ডুপ্লেক্স একটি বাঙলোর দিকে। সেটি দেখতে চাইলে তিনি আমাদের সেখানে নিয়ে গেলেন। ইট সলিং এর উঁচু রাস্তা দিয়ে সেখানে পৌঁছি। কারখানার ঠিক পশ্চিম দিকের বিশাল উচুঁ পাহাড়ের চুড়ায় নির্মিত নাহার চা বাগানের চেয়ারম্যানসহ সেখানে ভ্রমণে আসা ভিআইপিদের থাকার জন্য দৃষ্টিনন্দন ডুপলেক্স বাঙলোটি তৈরি করা হয়। বাঙলোতে প্রবেশ করে দেখা যায় এর প্রতিটি কক্ষ দামি দামি ব্রান্ডের আসবাবপত্র আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছিমছাম পরিবেশ । ফ্লোরগুলো বিদেশী ব্রান্ডের দামি দামি মার্বেল পাথর আর বিদেশি ঝারবাতি দিয়ে সাজানো। নীচতলার পাশেই রয়েছে বিশাল আকৃতির সুইমিংপুল। বাঙলোটিতে আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর চমৎকার সংমিশ্রণ রয়েছে। বাঙলোর পাশেই রয়েছে নয়নাভিরাম কৃত্রিম ঝর্ণা আর সুভিত ফুলের বাগান। পীযূষ ভট্রাচার্যের কাছ থেকে জানা ওই বাগানের আগেকার চিত্র আর বর্তমান পরিবেশ দেখলে তার পূর্বের রূপ সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার কোন উপায় নেই। পাহাড়ের উপরে বাঙলোটির অবস্থান হওয়ায় ছাদ থেকে পুরো বাগানের প্রকৃতি উপভোগ করাটাও বেশ আনন্দের।

ডুপ্লেক্স বাঙলো ঘুরে দেখা শেষ হতেই পরবর্তী গন্তব্য কারখানা দেখার। মাত্র দু’শ গজ এর মতো হবে বাঙলো আর কারখানার দূরত্ব। সমতল ভূমিতে ফেক্টরিটির অবস্থান। আকাশচুম্বি বিশাল ফেক্টরিতে প্রবেশ করে প্রথমে আমাদের ঘুরে ঘুরে দেখান কীভাবে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করে এখানে মান সম্পন্ন চা উৎপাদন হয় তাঁর প্রতিটি স্থর। পরিদর্শনকালে পীযূষ ভট্রাচায্য জানালেন বাগানটিতে ফেক্টরী না থাকায় এক সময় এখানকার চা পাতা সংগ্রহ করে অন্য বাগানে নিয়ে চা প্রস্তুত করা হতো। এতে ব্যয় এবং ভোগান্তি দুটোই ছিলো। তবে ২০১৫ সালে গ্যাস ও উন্নত জেনারেটারসহ চা উৎপাদনের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ বিশাল আধুনিক কারখানা প্রস্তুত করার পর থেকে সরাসরি নিজস্ব কারখানায় চা উৎপাদন শুরু হয়।

কারখানার চা উৎপাদন দেখতে দেখতে সময় গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার উপক্রম। সেখান থেকে বের হয়েই চোখে পড়ল বিশাল লেক। চারিদিকে পাহাড় ঘেরা লেকটি দেখতেও চমৎকার। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাশের টিলার উপরেই রয়েছে হরিনছড়া বিজিবি ক্যাম্প। বাগানের অভ্যান্তরে ক্যম্পটির অবস্থান হওয়ায় এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেশ ভাল জানালেন পীযূষ ভট্রাচার্য।

সারি সারি চাগাছ, ফেক্টরী, পাহাড়ের পাদদেশে অত্যাধুনিক ডুপ্লেক্স বাঙলো আর বাগানের লেক ঘুরে এবার আমাদের ফেরার পালা। এরই মধ্যে বাগানটি ঘিরে তার পেছনের অজানা গল্পে কেটে যায় অনেকগুলো সময়। বাগানটি ঘিরে যত জানার চেষ্টা করি ততই যেন আগ্রহ বাড়তে থাকে। মনে হলো যেন বাগানটির উত্থান রোমাঞ্চে ভরপুর। সবকিছু অবলোকন করে যখন ফেরার পালা তখন সন্ধ্যা। সন্ধ্যা হলেও ভয়ের কোন কারন নেই। কারন এখন আর এখানে কুপিবাতি কিংবা ঝিঝি পোকার আলোয় পথ চলতে হয়না। বিদ্যুৎ আর ডিজিটাল সব ব্যবস্থাপনা বদলে দিয়েছে এই জনপদের সামগ্রিক চিত্র। বাগান থেকে যাত্রা করতেই সীমান্তের ওপারের রেখায় জ্বেলে উঠা আলোর রশ্মি আর এপারের বৈদ্যতিক আলোর মিশ্রনে রাতের নাহার এক অন্যরকম সৌন্দর্য দারূণভাবে ভ্রমনের তৃপ্ততা আরও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। যে দিকেই চোখ যায় শুধু চোখ ধাঁধানো আলো আর আলোর খেলা।

(একে/এএস/জানুয়ারি ১৭, ২০২২)