স্পোর্টস ডেস্ক : তার কোচিংয়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ভাল করেনি বাংলাদেশ। ভাল করেনি বলতে প্রাপ্তিটা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এরপর আর টিম বাংলাদেশের সঙ্গে থাকাও হয়নি স্টিভ রোডসের। তবে এবার বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরামর্শক হয়ে এসে পুলকিত এ ইংলিশ।

জানালেন, বাংলাদেশকে ভোলেননি। যেভাবে যে পরিচয়েই হোক না কেন, আবার এদেশে আসতে পেরে ভাল লাগছে তার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাকে মনে করেছে সেটা তার কাছে অন্যরকম ভাললাগার। বাংলাদেশের ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষের ভালবাসার প্রতিও তার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা।

তবে বাংলাদেশ, দেশের মানুষ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অকুন্ঠ প্রশংসা করলেও রোডসের কথাবার্তায় পরিষ্কার, বিসিবির ওপর চাপা ক্ষোভ আছে তার। তাই বিসিবি নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করতে নারাজ।

তার সোজা সাপটা কথা, আমি বিসিবি সংক্রান্ত একটি কথাও বলতে চাই না। বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে কাজ করার প্রসঙ্গ টেনে রোডস বলেন, ‘সে সব এখন শুধুই ইতিহাস।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছিল, তা মানতে নারাজ রোডস। তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা পাকিস্তান ছাড়া সব দলের বিপক্ষেই ভাল খেলেছি। এমনকি হারলেও ইংল্যান্ড আর ভারতের বিপক্ষে আমাদের পারফরমেন্স ছিল বেশ নজরকাড়া। মোটকথা, আমরা কোন ম্যাচেই চরমভাবে পর্যদুস্ত হইনি। বরং নিউজিল্যান্ডকে নাড়িয়ে দিয়েছিলাম। এছাড়া কয়েকটি ভাল জয়ও পেয়েছি।’

তার দাবি, ‘মানুষ যাই ভাবুক আর মনে করুক না কেন আমার মনে হয় না আমাদের বিশ্বকাপ পারফরমেন্স তেমন খারাপ ছিল। আর কোন পদ থেকে কেউ সরে দাঁড়ালে মানুষ অনেক রকমই ভাবে। অনেক কথাও বলে।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান হাল হকিকতও তার ভাল জানা। জানিয়ে দিলেন, তিনি পত্রিকায় পড়ে বাংলাদেশের খেলার খোঁজ খবর রাখেন। তাইতো মুখে এমন কথা, ‘আমি আপনাদের লিখা পড়ি। আপনারা অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল খোঁজ-খবর রাখেন। দলে বেশ কজন পরিশ্রমী কোচিং স্টাফ আছে। যাদের অধীনে এখন ভাল ফল হচ্ছে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়কে অনেক বড় প্রাপ্তি ও অর্জন বলে আখ্যা দিয়ে রোডস জানান, ‘নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের হারানো দারুণ এক সাফল্য। ছেলেরা উঠে এসেছে এবং খুব ভাল খেলে সাফল্য বয়ে এনেছে। পরের টেস্টটা ভাল করা হয়ত একটু বেশি বড় কাজ হয়ে যেত। তারপরও তারা ভালমতই কামব্যাক করেছিল। এছাড়া ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাকেও (অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) অনেক বড় সাফল্য বলে মনে করেন রোডস।’

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৯, ২০২২)