টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে পাকা পেঁপে দেয়ার কথা বলে বসত ঘরে ডেকে নিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় কালু খা’কে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি  সদর উপজেলার ভাতকুড়া গ্রামের গগন খা’র ছেলে ও  করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুর আত্মীয় ।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ওই শিশুর শারিরীক পরিক্ষা শেষে ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত কালু খা করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আত্মীয় হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

শিশুর বাবা জানান, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) তার মেয়েসহ কয়েকজন শিশু কালু খা’র উঠানে খেলতে যায়। ওই সময় কালু খা তার জমির আগাছা পরিস্কার করার জন্য শিশুদের বলেন। শিশুরা না করলে, আগাছা পরিস্কারের বিনিময়ে পাকা পেঁপে দেয়ার লোভ দেখায় কালু খা। কাজ শেষে তার মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করলে তার মেয়ের বিরুদ্ধে পেঁপে চুরির অভিযোগ আনেন। বিষয়টি কাউকে জানাতেও মানা করেন। তার স্ত্রী’র কাছে মেয়েটি সব খুলে বলে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে শিশুর বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

শিশুর বাবা বলেন, মামলার পর আসামি শান্তিতে ঘুমালেও আমাদের থানায় সারারাত জেগে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আমার মেয়ের যে এতো বড় ক্ষতি করেছে আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে কালু খা’র বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মেয়ে হাজেরা বেগম বলেন, ওই শিশুর পরিবার আমাদের বাসার পাশেই ভাড়া থাকতো। এছাড়াও ওই শিশুর মামা আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতো। তাদের সাথে পূর্বে আমাদের সাথে কোন বিরোধ ছিলো না। তারপরও তারা আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর মাকে আমাদের বাসা থেকে চলে যেতে বলেছি।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ শামীম হোসেন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহণে পর ওই শিশুর শারিরীক পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে।

আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, নির্যাতিত শিশুটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

(এসএম/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০২২)