রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ীতে শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দিন দিন কমতে শুরু করেছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলোর শিক্ষার্থী। 

অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দায়িত্ব অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে অভিভাবক মহল কোচিং সেন্টার গুলোকেই নির্ভর মনে করছেন। ১৮ জানুয়ারী উপজেলার ৬নং বেতাকাপা ইউনিয়নের মোস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০.১৫ মিনিটে বিদ্যালয়টিতে বেশ কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত পাওয়া যায়। তবে কোন শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। উক্ত বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ খোলা না পেয়ে শিক্ষার্থীদের বই মাঠে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সকাল ১০.৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার সরকার ও নাসরিন খাতুনকে বিদ্যালয়ে আসতে দেখা যায়।

প্রধান শিক্ষকের নিকট বিদ্যালয় খোলার সময় সূচি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল ৯.৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ক্লাস চলার নিয়ম।

প্রধান শিক্ষক সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, সমস্যা হতেই পারে। আজ একটু দেরি হয়েছে। অপরদিকে ৭নং পবনাপুর ইউনিয়নের বান্নিরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০.৫০ মিনিটে উপস্থিত হয়ে ৪ জন শিক্ষার্থীকে মাঠে বসে ক্যারামবোর্ড খেলতে দেখা যায় এবং প্রধান শিক্ষক রীতা রানী ও সহকারী শিক্ষক মাহফুজা বেগম-কে চেয়ার নিয়ে বিদ্যালয় মাঠে বসে থাকতে দেখা যায়।

ক্লাস না করে বাচ্চাদের খেলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে প্রধান শিক্ষক রীতা রানী জানান, শিক্ষার্থীরা এখনো আসেনি তাতে আমরা কি করব। তবে ওই সময় ২য় শ্রেণির ৪ জন ও ১ম শ্রেণির ২ জন শিক্ষার্থীকে উপস্থিত পাওয়া যায়। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তারা জানান, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা করা হবে।

(আর/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০২২)