স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতির মধ্যে মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়ে নতুন করে কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।

বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়ে কোনো নতুন নির্দেশনা আছে কি না- জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেটা এখনো বলবৎ আছে। আমরা বলেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ পড়ার জন্য।

তিনি বলেন, আগে বলা হয়েছিল ২০ জন মসজিদে নামাজ পড়তে পারবে। এমন একটা নিয়ম চালু করা হয়েছিল। আমরা বুঝতে পেরেছি, সেটা ঠিক নয়। বায়তুল মোকাররমে ৩৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারে। সেখানে যদি ১০ হাজার মানুষ নামাজ পড়ে তবে তো আইনের ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে হয় না। হয়তো ছোট ছোট মসজিদগুলোকে যেখানে ৪০/৫০ জন নামাজ পড়তে পারে, সেটা লক্ষ্য করে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

মসজিদে নামাজ কিংবা অন্যান্য উপসনালয়ের বিষয়ে আপাতত নতুন করে কোন নির্দেশনা নেই বলেও জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসকদের কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ফরিদুল হক খান বলেন, আমরা যেসব নির্দেশনা দিয়েছি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করুন। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিককেন্দ্র নির্মাণ কাজের তদারকি ও সংশ্লিষ্ট কাজের ভূমির জটিলতা নিরসনে বিশেষভাবে সচেষ্ট হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিককেন্দ্র পরিচালনা করতে হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাকাত আদায় বৃদ্ধি ও বিতরণে ভূমিকা রাখতে বলা হয়েছে তাদের। বলা হয়েছে ইসলামিক মিশন হাসপাতালের কার্যক্রম তদারকিসহ গতিশীল করা প্রয়োজন।

‘ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা তালিকাভুক্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করতে হবে।’

ডিসিদের দেওয়া নির্দেশনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের চাঁদ দেখার বিষয়ে আরও যত্নবান ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির সংস্কারের কাজ তদারকি করতে হবে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সময়ে সময়ে সরকারের জারি করা নির্দেশনাবলী সকল উপাসনালয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

হজ পালন করতে গেলে সৌদি আরবকে অর্থ দিতে হয়। বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের ইজতেমা হয়। সেখানেও দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসে। এতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে কোনো চার্জ আরোপের চিন্তা সরকারের আছে কি না- জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা হাতে নেই। সারা বিশ্ববাসী যখন বিশ্ব ইজতেমায় আসে, আল্লাহতা’লা ইজতেমাকে কবুল করে নিয়েছেন। কোনো অর্থ আরোপ করা সমীচীন হবে না বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমি মনে করি এটা এদেশের জন্য আল্লাহর বরকত।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২২)