আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : “বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামের ৫০টাকা করে অনৈতিকভাবে আদায়ে ও আত্মসাতের ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে আহ্বায়ক করে বৃহস্পতিবার চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালা, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. কামরুজ্জামান। কমিটি গঠনের তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

বিভিন্ন জাতীয়, অনলাইন ও আঞ্চলিক পত্রিকায় শিক্ষা অফিসারের দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলে মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি’র দৃষ্টি গোচর হয়। বিষয়টি নিয়ে এমপি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম এর সাথে বৃহস্পতিবার সকালে কথা বলেন। এমপি’র নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃহস্পতিবার চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও মো. আবুল হাশেম।

এদিকে শিক্ষা অফিসারের দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পরে তার আরও নিয়োগ বানিজ্য, কমিটি গঠনে অর্থ আদায়, দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের পৃষ্টপোষকতা করাসহ নতুন নতুন অনিয়ম দূর্নীতি আর নারী ঘটিত বিষয়ে বিস্তর তথ্য প্রদান করতে শুরু করেছে সংিশ্লষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ স্থানীয়রা। শিক্ষা অফিসারের পাশপাশি তার অফিস সহকারী মন্টু রঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসারের হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে জোর জুলুম করে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দায়িত্বশীল এক নেতা দূর্নীতিবাজ শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামের পক্ষ অবলম্বন করে টিকার জন্য টাকা উত্তোলনের বিষয়টি একটি মিটিং এর সিদ্ধান্ত এবং শিক্ষকেরা অবহিত বলেও জানান। তিনি আরও বলেন- শিক্ষা অফিসার নয়; টিকার খরচের জন্য শিক্ষকেরা টাকা উত্তোলন করে তাদের খরচের কথা রয়েছে। পাশাপাশি ওই নেতা নিজেকে খরচ কমিটির আহ্বায়ক বলেও এই প্রতিনিধির কাছে দাবি করে বলেন আমরা শিক্ষা অফিসারের খরচের বিষয়টি হিসাব নেব।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২২)