রিপন মারমা, রাঙামাটি : পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পজিটিভ রোগীর  বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত করোনা সংক্রমণ রোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে করোনা রোগী থাকায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ সময় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেন আদালত।

গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এরই মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও বাড়ি চিহ্নিত করতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পজিটিভ রোগীর বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছেন।

সংক্রমণরোধে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকল্পে এবং জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে জেলা প্রশাসন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লাল পতাকা লাগানো হয়।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বোরহান উদ্দিন মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা নিশ্চিতে ও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে জেলা প্রশাসন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ১৫৫ জনের করোনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে ৫৫জন। শনাক্তের হার ৩৫.৪৮ভাগ। সংক্রমণ জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সদরে ৩৫,কাপ্তাইয়ে ১৫, রাজস্থলীতে এক এবং বিলাইছড়িতে চার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সূত্রের আরোও জানা যায় জানুয়ারি মাসের এক থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত ২৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। (শতাংশের হার ৯.০৫)। ১৩ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ৫৪৫টি পরীক্ষা করে ১৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। (শতাংশের হার ৩০.০৯)।

(আরএম/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২২)