ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারীর সোনারায় দারোয়ানী বাজার এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে সর্বশেষ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন। তারা উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মৃতরা সবাই নারী। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে অবহিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আমির আলী।

তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন মারা যান। এ ছাড়া আহত তিনজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ও দুজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ৩৫ বছর বয়সী রোমানা আকতার, ৩৩ বছরের সায়েরা বেগম ও ৩৪ বছরের শেফালী বেগম।

এ ছাড়া আহতরা হলেন মিনা পারভীন, নাসরিন আক্তার, কুলসুমা, অহিদুল ইসলাম ও রওশন আরা। তাদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। হতাহত সবার বাড়ি সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আমির আলী জানান, সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের দারোয়ানীতে খোলা একটি রেলগেট আছে। একটি অটোরিকশায় করে শ্রমিকরা সবাই কাজে যাচ্ছিলেন। লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মেজবাহুর হাসান চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে আনার পথে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও দুজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, ‘অটোরিকশায় ৮ জন যাচ্ছিলেন উত্তরা ইপিজেডে। কুয়াশার কারণে বুঝতে না পারায় লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়েন তারা।’

(ওকে/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০২২)