এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বেশিরভাগ পদ শুন্য রয়েছে। সেই সাথে মেডিকেল অফিসার, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবলেও রয়েছে সংকট। ফলে মানসম্মত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার বাসিন্দারা।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে নয়টি পদই শুন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি একজন থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। এছাড়া সংকট রয়েছে মেডিকেল অফিসারের।

একই অবস্থা বালিয়াকান্দি ও কালুখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কালুখালি ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হলেও এখানে জনবল রয়েছে ৩১ শয্যার।সেই সাথে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন, গাইনি, অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি এ চারটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদের সবগুলোই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এছাড়া একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও তিনজন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও একজন মাত্র মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা। পরিছন্নতা কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদও শূন্য।

অন্যদিকে ৫০ শয্যার বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রয়েছে লোকবল সংকট। এখানেও ১০টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সবগুলো পদই শূন্য। এছাড়া তিনটি মেডিকেল অফিসারের পদও শূন্য। আধুনিক মানের অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সেটি তালাবদ্ধ। সংকট রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবলে।

সরেজমিনে কালুখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পলিথিন, কাগজের টুকরা আর ধুলাবালি জমে নোংরা হয়ে আছে। মেডিকেল ওয়ার্ডগুলোও ধুলাবালিতে ভর্র্তি। টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে।

এ বিষয়ে কথা হয় কালুখালি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স আকলিমা খাতুন এর সাথে। তিনি জানালেন , ‘হাসপাতালে কোনো পরিছন্নতা কর্মী নেই, তাই এ অবস্থা হয়ে আছে। এছাড়া কোনো গার্ডও নেই। রাতের বেলা ডিউটি করতে ভয় করে।

তবে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার অরুন্থিমা সোমা সাহা জানালেন, তারা সব সময় চেষ্টা করেন সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার।এছাড়াও তিনি বলেন, যে সেবাগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিতে পারবে সেটি তো আমরা পারব না। এ জন্যই ফরিদপুর বা রাজবাড়ীতে পাঠাতে বাধ্য হই।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মো. ইব্রাহিম টিটন বলেন, ‘তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে আমাদের মেডিকেল অফিসাররা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ওইসব এলাকার বাসিন্দারা জেলা সদর হাসপাতালে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

(একেএ/এএস/জানুয়ারি ২৭, ২০২২)