গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নৌকা প্রতীক না পেলেও, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের 'চেয়ারম্যান' পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই মো. আক্তারুজ্জামান শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছেন।

আক্তারুজ্জামান সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত এরশাদুল হকের ছোট ভাই ও নাটঘর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আবুল কাশেমের পুত্র।

আজকের নির্বাচনে তিনি ৫ হাজার ৫০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৪১ ভোট।

জানা গেছে, নাটঘর ইউপির চেয়ারম্যান ডা. আবুল কাশেম বার্ধ্যক্যজনিত কারণে এবার নির্বাচন করবেন না বলে তাঁর বড় ছেলে এরশাদুল হক গত কয়েকমাস ধরে বাবার পরিবর্তে নিজেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাতে নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে অনুষ্ঠিত একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নৃশংসভাবে খুন হন এরশাদুল হক ও তার সহযোগী বাদল সরকার। এরশাদুল নিহত হবার পর তার স্ত্রী ইসরাত জাহান ও ছোটভাই প্রবাস ফেরত মো. আক্তারুজ্জামান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফর্ম তুলে নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেবর ভাবীর কেউই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করতে পারেননি। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত ভাবী ইসরাত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও দেবর প্রবাসী আক্তারুজ্জামান 'স্বতন্ত্রপ্রার্থী' হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে বিজয়ী হন।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আবুল কাশেমের এই প্রবাস ফেরত সন্তান মো. আক্তারুজ্জামান 'চেয়ারম্যান' নির্বাচিত হওয়ার পর বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আগামিতে জনস্বার্থে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে জেলা সদরের সীমান্তবর্তী ঘেষা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নাটঘরবাসী।

(জিডি/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২২)