নূরুল আমিন খোকন, ফেনী : ফেনীর সোনাগাজীতে আট বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন মেসকিন নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। একই সাথে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে ওই যুবদল নেতার মামা বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকেও আসামি করা হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি রাত দশটায় উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের চাঁন মিয়ার দোকান সংলগ্ন মমতাজ কমলার বাড়িতে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিশুর মা মনোয়ারা সুলতানা।

মামলা নং-০৩, তাং-০৩-০২-২০২২খ্রিস্টাব্দ। পুলিশ ও শিশুর মা মনোয়ারা সুলতানা জানায়, চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাভিকারী গ্রামের মৃত এনায়েত উল্যাহর ছেলে ইমাম হোসেন মেসকিনের সাথে ১৭ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত নুরুল হুদার কন্যা মনোয়রা সুলতানার বিয়ে হয়। তার ঘরে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে মনোয়ারা পিতার মমতাজ কমলার বাড়িতেই থাকতেন। গত ২৭ জানুয়ারি রাত দশটার দিকে তিনি রান্না ঘরে রুটি বানানোর সময় তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ইমাম মেসকিন। রান্নাঘর থেকে ফিরে বিছানার উপর শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন মনোয়ারা। এসময় তড়িঘড়ি করে শিশুকন্যার বাবা মেসকিন পালিয়ে যায়। পরদিন ২৮ জানুয়ারি মেসকিনের মামা, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে বিষয়টি অবগত করে মনোয়ারা মেসকিনের সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেন। ধর্ষণের বিষয়টি সমাধান না করে ৩০ জানুয়ারি আবুল কালাম আজাদের পরামর্শে দেনমোহরের ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মনোয়ারাকে তালাক দেন মেসকিন। এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেন মেসকিন। ওই দুটি সংসারেও তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ইমাম হোসেন মেসকিন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মেসকিন স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও নিজের শিশুকন্যা ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

(এনএকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২)