রিপন মারমা, রাঙামাটি : রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালীতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর পরিবেশে নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ মাঠে সুইহ্লামং মারমা ফুটবল একাডেমির ব্যানারে এ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আশেপাশের হাজার হাজার দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন।

খেলায় নিলুফার কায়সার স্মৃতি নারীর ফুটবল একাডেমি বনাম সুইহ্লামং মারমা ফুটবল একাডেমী অংশগ্রহণ করেন।টানটান উত্তেজনা পূর্ণ খেলাটি নির্ধারিত সময়ে ২-২গোলে অমীমাংসিত ভাবে শেষ হলে খেলাটি ড্রতে রূপ নেয়।

খেলা শেষে বিজয়ী দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন দুইটিমের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সুইহ্লামং মারমা সভাপতিত্বে অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুইহ্লামং মারমা ফুটবল একাডেমির কোচ,নিলুফার কায়সার স্মৃতি নারীর ফুটবল একাডেমি চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ, নিলুফার কায়সার স্মৃতি মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ এরশাদ তিনি জানান,

বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এটা নব্বই দশকের দিকে অনেকেই চিন্তা করতে পারেনি। ১৯৭৭ সালে দেশসেরা ফুটবল শিক্ষক সাহেব আলীর তত্ত্বাবধানে ভিকারুননেসা নূন স্কুলের বেশ কয়েকজন মেয়েকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কিছুদিন চলার পর আর্থিক সংকটে সেটা আর ধারাবাহিকতায় রূপ পায়নি। ২০০১ সালে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা ফুটবল দল হঠাৎ করেই বাংলাদেশে আসে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে। কিন্তু তখন বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের কয়েকজন খেলোয়াড়।তখন থেকে মহিলাদের খেলোয়ার প্রতি সবার দৃষ্টির গৌচর হয়। পাশাপাশি মহিলাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে খেলাধুলা করার জন্য এখন বর্তমানে নারীরাও পিছে নেই।

সে সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চট্টগ্রাম আবহানী লি. কোচ মোহাম্মদ আলী, ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দীন ছোটন প্রমুখ।

(আরএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২)