অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলায় প্রাণি সম্পদ অফিসগুলোতে জনবল সংকটে গরু, বাছুর, হাঁস ও মুরগির চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। পদ থাকলেও জনবল নিয়োগ হচ্ছে না। তিনটি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। তার মধ্যে ১০৩টি পদ চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত। ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের রমজান আলী বলেন, গ্রামে গরু-বাছুরের চিকিৎসা ব্যয় বহুল হয়ে গেছে। তাই কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাড়ফুঁক করে নিয়ে আসি আমরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, শূন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য ঢাকায় অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। লোকবল নিয়োগ হলে সমস্যা থাকবে না। তবে সীমিত লোকবল দিয়ে গবাদি পশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সরকার গরু-বাছুরের চিকিৎসাসেবা চাষির দোরগড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক চালু করা হচ্ছে। প্রথমে সদর উপজেলায় এ সেবা চালু হবে। মোবাইলে খবর দিলে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের গাড়ি, ওষুধ ও ডাক্তার পৌঁছে যাবে। গাড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চালক আসেনি। এ সেবা পুরোপুরি চালু হলে রোগাক্রান্ত গরু-বাছুর ১০-১৫ মাইল দূরের জেলা বা উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে না।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২)