জাহেদ সরওয়ার, কক্সবাজার : সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়ে সব হারিয়ে প্রাণ নিয়ে কুলে ফিরে আসল মহেশখালীর ১৬ জেলে। কুলে ফিরে আসা জেলেরা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের খোন্দকারপাড়া বাসিন্দা।

জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার ফিশিং ট্রলারের মালিক খোন্দকার পাড়ার গোলামবারী মাঝি গণমাধ্যমে আক্রমনের নির্মম বর্ননায় জানান, গত ৫ মার্চ তিনি সহ আরো ১৫জন মাঝিমাল্লা সাাগরে মাছধরার জন্য যান। প্রথম দিনে প্রায় ৯শ ইলিশ মাছ আহরণের পর ৭মার্চ গভীর রাতে সাগরের গুলিদ্বার নামক স্থানে মাছ আহরণের জন্য জাল ফেলে। বেশ কয়েকট ফিশিং বোটও মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিল। হঠাৎ বড় আকৃতির একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ২৫/৩০জন জলদস্যু গোলামবারীর মালিকানাধীন এফবি নুরশেদ বোটে উঠে গোলামবারী সহ অপরাপর মাঝিমাল্লাদের ব্যাপক মারধর করে। কেবিনে ঢুকিয়ে পেরেক মারে। বোটে আহরণ করা ৯শ ইলিশ মাছ, ৩৮ পিস জাল, ৮টি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় জলদস্যুরা ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে ফিশিং বোটটি অচল করে পালিয়ে যায়। জলদস্যুদের প্রহারে প্রায় মৃত্যুর মুখে একটু পানি চাইলে ও জলদস্যুরা পানি পান করতে দেয়নি।

৪৫ ঘোড়া ফিশিং ট্রলারটি এক দিন এক রাত সাগরে ভাসতে ভাসতে অন্য একটি ফিশিং ট্রলারের সহায়তায় ৮মার্চ বিকালে গোরকঘাটা জেটিঘাটে ফিরে আসে। ফিশিং ট্রলারের মালিক গোলামবারী মাঝি জলদস্যুরা বাশখালীর হতে পারে বলে ধারণা করেন। তিনি আরো জানায়, ৪০ বছর জেলে পেশায় কখনো জলদস্যুতার শিকার হয়নি।

(জেএস/এসপি/মার্চ ১০, ২০২২)