রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারী সীমান্ত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে শিবেরডাঙ্গী বালিয়ামারী বেড়িবাঁধ। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ৪ বিজিবি ক্যাম্পে হাটু পানি হওয়ায় ক্যাম্প ছেড়ে জোয়ানরা নিরাপদে সরে গেছেন। প্রায় দুই হাজার পরিবারের ঘরবাড়িতে ঢলের পানি। বন্যায় উপজেলার সীমান্ত এলাকার অর্ধশত গ্রামের অর্ধলক্ষ মানুষ এখন গৃহবন্দি হয়ে আছে। উপজেলা প্রশাসন বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১০ টন খয়রাতি চাল বরাদ্দ দিয়েছে বুধবার।

চরলাঠিয়ালডাঙ্গা সীমান্তের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম জানান, ভারতের অভ্যন্তরে কালাইরচর এলাকায় বড় ধরণের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা অনেক বেশি। গত ৩০ বছরেও সীমান্ত এলাকায় এরকম বন্যা হয়নি বলেও জানান তিনি। সীমান্ত ঘেষা জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালো নদীতে তীব্র স্রোতে পানি ঢুকছে বাংলাদেশে।

অপরদিকে ঢলের পানি ঢুকেছে বড়াইবাড়ি, হিজলামারী, খেওয়ারচর ও বাংলাবাজার বিজিবি ক্যাম্পে। এই চারটি ক্যাম্পের ভিতর হাটু পানি। ফলে বিজিবি জোয়ানরা ক্যাম্প ছেড়ে ফুলবাড়ি ও বকবান্দা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবাজার বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার। রাজীবপুরের বালিয়ামারী সীমান্তে বর্ডার হাট ডুবে যাওয়ার কারনে দুই সপ্তাহ থেকে হাটের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঢলের ¯্রােতে সীমান্ত এলাকার রাস্তাঘাট ও ব্রিজকালভার্ট ধসে পড়েছে। শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শিবেরডাঙ্গী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে রৌমারী-ঢাকা সড়ক। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে সীমান্ত এলাকার ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, পাহাড়ি ঢলের ঘোলা পানিতে সীমান্ত এলাকার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর রোপা আমন এখন পানির নিচে। এতে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

(আরআইএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪)