অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন তথ্য ব্যতীত, যার কাছে যে তথ্য আছে তা দিতে বাধ্য। জনগণের তথ্যের নিশ্চিত করার লক্ষেই এই আইনটি প্রতিষ্ঠিত। দেশে যত আইন আছে, তার মধ্যে বিশেষ বিশেষ আইন হলো তথ্য অধিকার আইন ২০০৯। তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক ঝিনাইদহে জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা এই আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে জেলা উপজেলায় যাচ্ছি।

জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস এ কথা উল্লেখ করে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, মানুষ যেন তার অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে।

তথ্য সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো অন্ধকারে আলো জ্বালা। আর সেখান থেকে তথ্য বের করে আনাই হলো সাংবাদিকতা। তবে কাজটি সহজ নই। মানুষও নেতিবাচক বিষয়টি বেশি পড়তে চাই। এজন্য সাংবাদিকদেরও এইদিকে আগ্রহ থাকে বেশি। অনেক সময় অন্ধকারে আলো জ্বালতে গিয়ে ভূল করে ফেলি, এই বিষয়েও গনমাধ্যমকর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে।

আজ সোমবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও তথ্য কমিশন কর্তৃক আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।

অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, স্থানীয় সরকার বিভাগ'র উপ-পরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। অনুষ্ঠানে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তথ্য অধিকার আইন সর্ম্পকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়।

এদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের বসার স্থান নির্দিষ্ট না থাকায় গণমাধ্যম কর্মীরা আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। সকালে অনেক প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী বসার জায়গা না পেয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে আসেন। আবার অনেক রাজনৈতিক নেতা ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন বলে গণমাধ্যমকর্মীরা অভিযোগ করেন।

(একে/এসপি/মার্চ ২১, ২০২২)