নিউজ ডেস্ক : চুলের ৯৭ শতাংশই প্রোটিন। যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল প্রতিদিন পড়ে। এবং সেই সাথে নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং চুল রুক্ষ, নিষ্প্রাণ এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য নিজের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন, মাছ, ডিম, মুরগি, ডালজাতীয় শস্য এবং লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার। এছাড়া আরো কিছু পুষ্টি উপাদান আপনার চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

আয়রন
চুলের রক্ষা করতে চাইলে আয়রন বিশেষভাবে প্রয়োজন কারণ এটি কোষে অক্সিজেন সংবহন করে চুলের ফলিকলস পর্যন্ত নিয়ে যায়। অতিরিক্ত আয়রন কিন্তু আবার চুল পড়ার অন্যতম কারণ। আপনি পর্যাপ্ত আয়রন পেতে পারেন প্রাণিজ উত্‍স থেকে। যেমন মুরগি, মাছ, ডিম, গরুর মাংস, গাঢ় সবুজ শাক, অ্যাপ্রিকট, ডাল ইত্যাদি।

ভিটামিন এ
ভিটামিন এ মাথার ত্বকে তেল উত্‍পাদন করে এবং তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ-এর অভাবে খুশকি এবং মাথার ত্বকে চুলকানি হয়। মিষ্টি আলু, গাজর, টমেটো, আম, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ শাকসবজি ভিটামিন এ-এর চমত্‍কার উত্‍স।


ভিটামিন বি
ভিটামিন বি অপুষ্ট চুলের ফলিকলসে পুষ্টি যোগায়। শস্য, ডাল, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য, আলু, বাদাম, সবুজ শাকসবজি এবং মটরশুঁটি ভিটামিন বি-এর অন্যতম উত্‍স।

ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম চুলের বৃদ্ধির জন্য একটি জরুরি খনিজ উপাদান। লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উত্‍স। এগুলো উচ্চমাত্রার আমিষেরও উত্‍স। এছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও জিংকও গুরুত্বপূর্ণ।

জিংক
জিংক এমন একটি খনিজ উপাদান যার অভাব চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ, এমনকি চোখের পাতা পড়ারও। শুষ্ক, রুক্ষ মাথার ত্বকের কারণও এটি। ওয়েস্টার জিংকের অন্যতম উত্‍স। এছাড়া শস্য, মুরগি, বাদাম, গরুর মাংস, ডাল, মিষ্টি কুমড়ার বীজ এবং ডিমেও জিংক রয়েছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪)