স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রসারের মাধ্যমে গণতন্ত্র সুসংহত হয়। এর মাধ্যমেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। সংবাদপত্র জনগণের জন্য তথ্যভান্ডার। সুস্থ ও পরিশীলিত সমাজ বিনির্মাণে সংবাদপত্রের ভূমিকা অপরিসীম।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাতে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পঁচিশ পেরোনো নোয়াব-সদস্য সংবাদপত্র সম্মাননা ২০২২’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘পঁচিশ বছর পেরোনো নোয়াব সদস্য’ সংবাদপত্রসমূহকে সম্মাননা প্রদান করেন স্পিকার। এ সময় তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নোয়াবের সদস্য সংবাদপত্রসমূহ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজকে অনুপ্রাণিত করতে নোয়াবের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ অনন্য।

স্পিকার বলেন, ২০২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হওয়ায় এই দুইটি বছর জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নোয়াবের সদস্যরা স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের খবর দেশ-বিদেশে প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিল সংবাদপত্র। দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে নোয়াবের পথচলার ইতিহাস সম্পর্কযুক্ত।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও সত্য প্রকাশের মাধ্যমে জনসেবা নোয়াবের মূল লক্ষ্য। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্বের আনাচে-কানাচের খবর গণমাধ্যম আমাদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও নৈতিকতাসম্পন্ন সাংবাদিকতা অপরিহার্য। কেননা, মিথ্যা সংবাদ, ভুল তথ্য ও অপসাংবাদিকতা মানুষ তথা সমাজকে ভুল পথে প্রবাহিত করে।

নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, দৈনিক ভোরের কাগজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তারিক সুজাত, নোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহফুজ আনাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/মার্চ ৩১, ২০২২)