কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দিন ব্যাপী  ৭ম বার্ষিকী ৩দিন ব্যাপী ঋষি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার, রাজশাহী সঞ্জীব কুমার ভাটী। 

শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় তিনি ঋষি সম্মেলনে যোগদান করেন। এরপর তিনি ঋষিধাম, ঋষি ধামের মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।

পরে ঋষি সম্মেলনে তাকে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার, রাজশাহী সঞ্জীব কুমার ভাটী সম্পূর্ণ হিন্দিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষন এবং ডিসেম্বরে বিজয় দিবস ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করেছে। মহামারী করোনা থেকে সুরক্ষা থাকতে বাংলাদেশকে ভারতীয় টিকা উপহার দেয়া হয়েছে। গামেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ভারতেও বহু গামেন্টস রয়েছে। দুই দেশে পোশাক আমদানী- রপ্তানী করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলাদেশ এ নীতি মেনে চলে। সব মিলে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি হবে । দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে। তিনি ঋষিবীদ ও ঋষি সম্মেলনকে সাধুবাদ জানান। সেই সাথে এ ঋষিধাম হাজার শাখার তৈরি হবে বলে জানান। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও মাসাবীর সভাপতি এসএম ছানালাল বকসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত এ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংক, উদয় শংকর চক্রবর্তী ও মাসাবীর অধ্যক্ষ ও ঋষিধামের সম্মেলনের আয়োজক শ্রী নারায়ন চন্দ্র রায়। শেষে তিনি কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ও উত্তবঙ্গ যাদুঘর পরিদর্শন করেন।

সম্মেলনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) রাত ৮টায় উপজেলার উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মানাবাড়ি ঋষিধামে সম্মেলনের প্রধান অতিথি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম ফিতা কেটে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলিত করে(৩১মার্চ-২এপ্রিল) ৩দিনব্যাপী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও মাসাবীর সভাপতি এসএম ছানালাল বকসী, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার ও মাসাবীর অধ্যক্ষ ও ঋষিধামের সম্মেলনের আয়োজক শ্রী নারায়ন চন্দ্র রায়সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রজীবনে ব্রক্ষচর্য্য সাধন শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি কষ্পে জ্ঞানার্জন করতে এবং ঋষি যুগের ভাবধারা প্রতিষ্ঠা করাই এ সম্মেলনের লক্ষ্য।

(পিএস/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২২)