গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান সুমন খুন হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক শরীফ মিয়া (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত শরীফ বাঘাউড়া গ্রামেরই মারফত আলীর ছেলে। বুধবার নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর ঘাতক শরীফের স্ত্রী খাদিজা আক্তার সাথীর সাথে নিহত সুমনের পরকীয়া থাকার কারণেই তাকে (সুমন) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দ্বী দিয়েছে শরীফ। তবে গুলিতে নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমনকে খুন করা হয়েছে বলেও শরীফ পুলিশকে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন। এদিকে আলোচিত এ হত্যাকান্ডের পরপরই জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানসহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার (৪ এপ্রিল) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমনের পৈত্রিক বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামে। সুমন ওই গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সুমন গত ছয় সাত বছর ধরে বাঘাউড়া বাজারে একটি কাঠের দোকান খুলে (ফার্ণিচার) ব্যবসা করতো। তবে সুমন ছিলেন অবিবাহিত।

পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের পর নিহতের বড় ভাই সজিবুর রহমান মছদ্দর (৩২) বাদী হয়ে নবীনগর থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই নজরুল ইসলাম খন্দকারকে। পরে ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই হত্যাকান্ডের মূল ও একমাত্র ঘাতক শরীফকে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তার করতেও সক্ষম হয় পুলিশ।

নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক বাংলা ৭১ ও উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, 'হত্যাকান্ডের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দ্বীও আদায় করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘাতকের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।'

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দ্বী দেয়ার পর ঘাতক শরীফকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(জিডি/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০২২)