স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিও নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত সমাধানের ইংগিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দেন তিনি।

এমপিও জটিলতা নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বছর সভা করে এর আগ পর্যন্ত এনটিআরসিএ’র সব সমস্যা নিরসন করেছিলাম। এখন আবার কিছু নতুন ইস্যু এসেছে। আমরা সেগুলো দেখছি।

এমপিও জটিলতায় শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না এমন তথ্য জানালে মন্ত্রী বলেন, বেশকিছু ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশনায় তাদের চাকরি হয়েছে। আমাদের এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেওয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, আমরা সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসবো।

‘বিষয়টি নিয়ে এই সপ্তাহেই আমাদের সভা আছে। আমরা বিষয়গুলোর সমাধান করবো। নীতিমালাসহ সরকারের যে রিকোয়ারমেন্ট (প্রয়োজনীয় শর্ত) আছে, সেগুলো তো পূরণ করতেই হবে। অনেকের আবার কাগজপত্রেও সমস্যা থাকে। কাজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে তো দেওয়া সম্ভব না।’

গত জানুয়ারি মাসে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।

ফলে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়। এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১২, ২০২২)