ঝিনাইদহ প্রতিনিধ : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা তালসার গ্রামের সাবানা খাতুন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন চার বার। আর জননী হয়েছেন ৬ সন্তানের। এর মধ্যে দুইটি সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। সাবানা খাতুন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা তালসার গ্রামের খোকা মণ্ডলের মেয়ে।

প্রতিবেশীরা জানান, সাবানা কয়েক বছর পর পর এ ধরনের ঘটনা ঘটান। গত সপ্তাহে স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়িতে আসেন সাবানা। এর পর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আড়াই মাসের বাচ্চাটি বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মানুষ চাপাচাপি করায় গত মঙ্গলবার ভোর রাতে স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে যায় সাবানা। এর আগে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে একটা বাচ্চা বিক্রি করেছেন সাবানা।

সাবানার দাদি সালেহা খাতুন বলেন, আমরা হাতে করে সাবানাকে কখনো বিয়ে দি নাই। সে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে প্রথমে এলাঙ্গা গ্রামে। ওই ঘরে দুইটি সন্তানের জন্ম দেয়। ওই বাচ্চা রেখে স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে যায় ঢাকায়। ওখানে গিয়ে আরেকটা বিয়ে করে। বাচ্চা হয় ওই ঘরেও একটা। যে বাচ্চাটি বর্তমানে আমার ছেলে লালন-পালন করছে। মাঝখানে আরও দুইটি বিয়ে করে সাবানা। বর্তমানে বিয়ে করেছে মহেশপুর পাতরা গ্রামে। ওই ঘরে বাচ্চা হয়েছে তিনটি। যার মধ্যে একটা দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায়। বাকি দুইটি নিয়ে কয়েক দিন আগে আমাদের বাড়িতে এসেছিল। পরে অসুস্থতার কথা বলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর একটা বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফেরে।

সাবানার মা জানান, তাদের মনে যে এসব ছিল আমরা জানতাম না। গেল কয়েক দিন আগে তারা আমার বাড়িতে আসে। বলে মেয়ের শরীর খারাপ। এরপর ডাক্তার দেখানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে জানাজানি হয়ে গেলে মঙ্গলবার ভোর রাতে পালিয়েছে তারা। তাদের সব ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক মাসুদুর রহমান জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আমি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে বলেছি, সামাজিক ভাবে কি করা যায়। আর যদি কোনো সমস্যা ওরা করে সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২২)