দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুর সদর ২৬ নং ওয়ার্ড বিলমামুদপুর মল্লিকডাঙ্গী গ্রামে আদালতের ডিক্রী  পাওয়া জমির বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী জমির মালিক ২৬নং ওয়ার্ড বিলমামুদপুর মল্লিকডাঙ্গী গ্রামের মহুরম হোসেন মল্লিকের ছেলে মোঃ জব্বার মল্লিক।

তিনি অভিযোগে জানান, ফরিদপুর সদর বিলমামুদপুর ১০৭ নং মৌজার খতিয়ান নাম্বার আর এস ৮৪০ এস এ ৮৮৯, ৬০৮৫,নং দাগের খরিদার সূত্রে ১৮ শতংশ, ৭২পয়েন্ট জমি নিয়ে অনেক দিন যাবদ একই গ্রামের রুবিনা বেগম, স্বামী মৃতঃ শাজাহান মল্লিক,গংদের সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয়, পরে আমি ফরিদপুর সরদ উপজেলা আলফাডাঙ্গা সহকরী জজ আদালতে ৩৪/১৪,দেওয়ানী মামলা করি, দীর্ঘ দিন মামলা চলাচল শেষে আদালত আমার পক্ষে রায় ঘোষনা প্রদান করে সরকারী কমিশনার সরে জমিনে এসে লাল পতাকা পুতে জমি দখল দেয়। আদালতের রায় অমান্য করে তার বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে এবং পরিবার কে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান।

তিনি বলেন, গত ২০/০৩/২২ তারিখে জমি থেকে কলই তুলতে দেখে আমি বাধাঁ দিলে রুবিনা বেগম তার জমি দাবি করে বলে এই জমিতে ১৪৪দ্বারা চলছে, এই ১৪৪দ্বারার কোন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জমির কাছে আসলে হাত -পা ভাঙ্গার হুমকি দেয় এবং অকার্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার এবং পরিবার কে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায়, আমি এদের বিরুদ্বে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

আমি আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, আমি গরীব মানুষ মামলা মোকাদ্দমা করে নিঃস্ব হয়ে গেছি তারপরেও তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলছে, তাদের টাকা পয়সা লোক ক্ষমতা আছে আমার কিছুই নেই, এর জন্য আমি তাদের সাথে কোন কিছুতেই বেড়ে উঠতে না পারায় তারা আমাকে পাওনা সম্পতি থেকে বঞ্চিত করেছে।

একই গ্রামের আর এক ভুক্তভোগী জামাল মল্লিক জানায়, বিএস জরিপ ২০০৮ ফাইনাল কৃত জমির পরিমান ৬১,এর মধ্যে৫৭ শতংশ জমির মালিক আমি,যার খতিয়ান নাম্বার ১২২০, হালদাক নাম্বার ৬৩২৬,আর এসখতিয়ান নাম্বার৮৪০, এস এ ৮৮৯,এবং সাবেক দাগ ৬০৮৫ হাল জরিপে, খতিয়ান নাম্বার ১২২৯, দাগ নাম্বার ৬৩২৬, জমির পরিমান ৬৩২৬দাগে ৬১, এর মধ্যে হতে আমার ৫৭শতাংশ,৬৩২৬দাগের ২শতাংশ জমির মালিক হালজরিপে রেকটিও সত্যে জব্বার মল্লিক। এর পরে ৬৩২৬ দাগেের খরিদার সূত্রে মালিক ১শতাংশ ৭২পয়েন্ট জব্বার মল্লিক।
আমার রেকট কৃত জমির পরিমান ৫৭শ।

দীর্ঘ ২৫বছর ভোগ করার পরে উক্ত খতিয়ান ভুক্ত জমি রুবিনা বেগমের কাছে বিক্রয় করি, এবং সরে জমিনে ৫৭বুঝিয়া দেয়। কিন্ত রুবিনা বেগম ১৪বছর পরে তিনি অবৈধ ভাবে ৬৮শতং জমি দাবি করে, বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে আমাকে এবং আমার পরিবার কে হেহপতিপন্য করার চেষ্ট করছে। আমি এর সঠিক বিচারের দাবি জানায়। কারণ জমিজমির মূল শিকর হলো কাগজপত্র সেই কাগজ পত্র কে মিথ্যা করে, আমার বিরুদ্বে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। বিজ্ঞা আদালত যখন রায় দিয়ে সরেজমিনে এসে ঢোল বাজিয়ে গ্রামের সবাই কে অবগত করে জমির মালিক কে জমি দখল দিয়ে যায়। সেখানে আমাদের কে কেন মিথ্যা মামলা, মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, কথা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করে।

আমি ও একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আইনের প্রতি শ্রদ্বা রেখে এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানায়। কারণ গরীব অসহায় মানুষ টাকার কাছে ক্ষমতার কাছে অনেক দুর্বল।তাদের একমাত্র আশ্রয়ের স্থল মহান আল্লাহতালা তারপরে আইন প্রশাসন।

(ডিসি/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২২)