ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর মৌজার আওতাধীন ৮৪ শতক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি এই জমি জোর করে দখল করে নিয়েছেন।

জমির প্রকৃত মালিক দাবীদার মৃত আবদুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে টিপু সুলতান জমিতে যেতে পারছেন না। জমি দখল ফিরে পেতে টিপু সুলতান ঝিনাইদহ সদর থানা, সহকারী কমিশনার ভূমি ও হরিশংকরপুর পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন।

টিপু সুলতান বলেন, হরিশংকরপুর মৌজার ১১৭৯, ১১৭০ ও ১১৭৩ নং হাল দাগের জমি তার পিতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও চাচা মকছেদ আলী বিশ্বাসের নামে দলিল রয়েছে। কিন্তু ভূলক্রমে হাল রেকর্ড আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের চাচা মুনতাজ আলীর বিশ্বাসের নামে হয়ে গেছে। এই ভূল রেকর্ডের সূত্র ধরে মনিরুল রাতের অন্ধকারে জমিটি জবরদখর করে নিয়েছে। মনিরুল স্থানীয় সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত ও ডাবল হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় জমির মালিক টিপু সুলতান ভয়ে জমির উপর যেতে পারছেন না। অথচ এই জমি ১৯৭৬ সালে কেনার পর থেকেই মকছেদ আলী ও লতিফ বিশ্বাসের ওয়ারেশগন ভোগদখল করে আসছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই জমিতে টিপুর পক্ষে ওই জমিতে ফজলু নামে এক কৃষক তামাক চাষ করছেন। কিন্তু ওই জমিতে দখলদার মনিরুল রাতের আঁধারে জমি চষে পাট চাষ করছেন।

জমি দখলের অভিযোগে ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, জমি দখলের অভিযোগটি সত্য নয়। টিপু সুলতানের দাদার সাথে আমার দাদার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। রেকর্ডেও আমার দাদার নামে। এই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে আমি চাষাবাদ করি।

এই জমি নিয়ে আদালতে একটা মামলা চলমান রয়েছে দাবী করে মনিরুল জানান, এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে হরিশংকরপুর পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফারুক হোসেন জানান, তিনি এমন একটি অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে জমির কাগজপত্র নিয়ে ক্যাম্পে আসার জন্য বলেছেন।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০২২)